এশিয়া কাপের আগে দারুণ ছন্দে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। টি-টোয়েন্টিতে টানা তিন সিরিজ জিতে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাচ্ছে লাল সবুজরা। তারপরও লিটনদের নিয়ে আশাবাদী হতে পারছেন না ভারতের সাবেক ক্রিকেটার ও ক্রিকেট বিশ্লেষক আকাশ চোপড়া। তার মতে, গ্রুপ পর্বেই শেষ হয়ে যেতে পারে টাইগারদের এশিয়া কাপের মিশন।
আগামী ৯ সেপ্টেম্বর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এশিয়া কাপে বাংলাদেশ খেলবে ‘বি’ গ্রুপে। টি-টোয়েন্টি সংস্করণে হতে যাওয়া এবারের টুর্নামেন্টে টাইগারদের গ্রুপে আছে আফগানিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও হংকং। গ্রুপে চার দল থেকে সেরা দুই দল যাবে সুপার ফোরে।
চোপড়া মনে করেন, ‘বি’ গ্রুপ থেকে সুপার ফোরের দৌড়ে ফেবারিট আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশ গ্রুপ পর্বেই আটকে যাবে বলে মত তার।
নিজের ইউটিউব চ্যানেলে বাংলাদেশ নিয়ে মতামত দিতে গিয়ে চোপড়া বলেন, ‘সত্যি বলতে, তাদের কাজটা কঠিন, যদিও টি-টোয়েন্টিতে যেকোনো দলকে হিসেবের বাইরে রাখা ভুল হবে। তবে আমার মনে হয়, তারা আটকে যাবে। আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কা এই গ্রুপ থেকে কোয়ালিফাই করতে পারে। তাই বাংলাদেশের গল্প লিগ পর্যায় থেকে শেষ হতে পারে।’
চোপড়ার মতে বাংলাদেশের দুর্বলতা ব্যাটিংয়ে। লিটন দাসের ওপর দল অনেকটা নির্ভরশীল। অভাব দেখছেন এক পরিপূর্ণ অলরাউন্ডারের।
তিনি বলেন, ‘দুর্বলতার কথা বললে বলতে হবে, তারা লিটন দাসের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরশীল। লিটন দাস মানসম্মত খেলোয়াড়, কিন্তু যতটা সামর্থ্য আছে, ততটা ভালো এখনো করতে পারেনি। এই দলটা ২১০ থেকে ২২০ রান করার মতো না। তবে ১৬০ থেকে ১৮০ এর লক্ষ্য পেলে দলটি স্বচ্ছন্দে থাকে। এটাও একটা দুর্বলতা। একজন পরিপূর্ণ অলরাউন্ডারের অভাব আছে। অনেক দিন পর বহুজাতিক টুর্নামেন্টে সাকিব নেই। মেহেদী হাসান মিরাজও নেই।’
বাংলাদেশ দলের শক্তির জায়গা নিয়েও কথা বলেছেন চোপড়া। তার কণ্ঠে ঝরেছে টাইগারদের পেস ইউনিটের প্রশংসা।
ভারতের এই সাবেক ক্রিকেটার ও বিশ্লেষক বলেন, ‘বাংলাদেশের পেস বোলিং ইউনিট ভালো। তাসকিন, তানজিম নতুন বলে ভালো বোলিং করতে পারে। মোস্তাফিজ তো নতুন ও পুরোনো দুই বলেই ভালো করতে পারে। সব মিলিয়ে ভালো একটা পেস বোলিং ইউনিট, সঙ্গে অভিজ্ঞও। ফাস্ট বোলিং বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শক্তির জায়গা। স্পিনেও বৈচিত্র্য আছে। সব মিলিয়ে বাংলাদেশের বোলিং লাইনআপকে শক্তির জায়গা হিসেবে ধরা যেতে পারে।’
১১ সেপ্টেম্বর হংকংয়ের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে মিশন শুরু করবে লিটন বাহিনী। একদিন পর শ্রীলঙ্কা আর ১৬ সেপ্টেম্বর আফগানিস্তানের মোকাবিলা করবে টাইগাররা।
ইএ/টিকে