‘তোরা সরকারের বেতন-রেশন খাস না? গুলি করবি না কেন? তোদের চাকরি খেয়ে নেব।’ এভাবেই গত বছরের ৫ আগস্ট রাজধানীর চানখারপুলে অধস্তনদের হুমকি দিয়েছিলেন রমনা অঞ্চলের সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার শাহ আলম মো. আখতারুল ইসলাম।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার মামলায় এমন তথ্য তুলে ধরেন এসআই মো. আশরাফুল ইসলাম। ৩৯ নম্বর সাক্ষী হিসেবে ট্রাইব্যুনাল-১ এর সদস্য অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরীর একক বিচারিক প্যানেলে তার জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে আজ জবানবন্দি দেন আশরাফুল ইসলাম। তিনি বলেন, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সকালে বংশাল-চকবাজার এলাকা থেকে আসা ছাত্র-জনতা শাহবাগের দিকে যেতে চান। কিন্তু এডিসি আখতারুলের নির্দেশে কোনো প্রয়োজন ছাড়াই সাউন্ড গ্রেনেড, গ্যাসগান ও শটগান দিয়ে গুলি ছোড়া হয়। এপিবিএন সদস্যদের দিয়ে গুলি চালিয়ে ছাত্র-জনতাকে ছত্রভঙ্গ করা হয়।
এসআই আশরাফুল ইসলাম আরও বলেন, ওই সময় অধস্তনদের উদ্দেশ্যে আখতারুল বলেন— ‘তোমাদের যাদের কাছে পিস্তল ও চায়না রাইফেল আছে, তারা ফায়ার করে আন্দোলনকারীদের মেরে ফেল।’ তখন আমিসহ আরও কয়েকজন তার এ অবৈধ আদেশ পালন না করলে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করতে থাকেন। হুমকি দিয়ে এডিসি আখতারুল বলেন— ‘তোরা সরকারের বেতন-রেশন খাস না? গুলি করবি না কেন? তোদের চাকরি খেয়ে নেব।’
এদিন বেলা সাড়ে ১১টার পর থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সাক্ষ্যগ্রহণ চলে। প্রথমার্ধে সাক্ষ্য দেন চট্টগ্রামের বাসিন্দা মোহাম্মদ হাসান ও গাজীপুরের প্রত্যক্ষদর্শী সোহেল মাহমুদ। শেখ হাসিনার এ মামলায় আসামি থেকে রাজসাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দেওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে আজও ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। তার সামনেই জবানবন্দি দিচ্ছেন সাক্ষীরা।
এসএন