বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেছেন, দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে, দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র চলছে। আমাদের ঐক্যকে দৃঢ় করব এবং ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে থেকে যত ষড়যন্ত্রই আসুক আমরা মোকাবেলা করব।
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। ‘আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পুনর্বাসন ও নির্বাচন বানচালের চক্রান্ত রুখে দাও’ শীর্ষক সমাবেশের আয়োজন করে ১২ দলীয় জোট। ডা. জাহিদ বলেন, ‘আগামী বাংলাদেশ কী ধরনের হবে? স্বাস্থ্য ব্যবস্থা কী হবে? আইনের শাসনের কী অবস্থা হবে? কৃষি ব্যবস্থা কী হবে এবং জনপ্রশাসন কী হবে? সর্বোপরি মানুষ কিভাবে তার প্রয়োজনে তার ভাত-কাপড় এবং আপনার খাদ্যের যে চাহিদা অর্থাৎ মৌলিক চাহিদা কিভাবে মেটানো যাবে তার প্রতিটি জিনিস ৩১ দফা কর্মসূচিতে বিএনপিসহ সব গণতন্ত্রকামী রাজনৈতিক দল একত্রিতভাবে তা ঘোষণা করেছে। অর্থাৎ এটি হচ্ছে আগামী দিনের বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ রূপরেখা। কিভাবে বাংলাদেশে আগামী সরকার অর্থাৎ সব মানুষকে সঙ্গে নিয়ে একটি সরকার পরিচালিত হবে। এই সরকারে মানুষ আস্থা রাখবে।
সেই সরকারে দেশের সুশাসন নিশ্চিত হবে, আইনের শাসন নিশ্চিত হবে এবং নিরপরাধ কোনো মানুষ সাজাপ্রাপ্ত হবে না, অপরাধীরা ছাড়া পাবে না। কাজেই এই ধরনের একটি সামাজিক অবস্থা, এই ধরনের একটি বন্দোবস্তের জন্যই আমরা লড়ছি, ১২ দলীয় জোট লড়ছে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল লড়ছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা দেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধভাবে দৃঢ় করে আমরা রাজপথে থেকে এমন একটি ইস্পাত কঠিন ঐক্য গড়ে তুলব। যার মাধ্যমে কোনো অবস্থাতেই ফ্যাসিবাদ দূরে থাক, ফ্যাসিবাদের দোসররাও যাতে কোনো ফাঁকফোকর দিয়ে সেখানে ঢোকার কোনো সুযোগ না পায়, সেই ঐক্যকে আমরাও দৃঢ় করব। ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে থেকেই আমরা সব ষড়যন্ত্র রুখে দেব।’
সমাবেশে ১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক মোস্তফা জামাল হায়দারের সভাপতিত্বে ও তমিজ উদ্দিন টিটুর সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন এলডিপির একাংশের শাহাদাত হোসেন সেলিম, বাংলাদেশ জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদা, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) আহসান হাবিব লিংকন, লেবার পার্টির একাংশের ফারুক রহমান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির শামসুদ্দিন পারভেজ, ইসলামিক পার্টির আবুল কাশেম, ইসলামী ঐক্যজোট মাওলানা আবদুল করিম, ইউনাইটেড লিবারেল পার্টির আমিনুল ইসলাম, নয়া গণতান্ত্রিক পার্টির এম এ মান্নান, প্রগতিশীল জাতীয়তাবাদী দলের ফিরোজ মো. লিটন প্রমুখ।