সাংগঠনিক শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগের ভিত্তিতে নেত্রকোনা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি অনিক মাহবুব চৌধুরীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটি।
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের দফতর সম্পাদক (সহ-সভাপতি পদমর্যাদা) মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত দলীয় প্যাডে নোটিশটি পাওয়া যায়।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির এই নির্দেশনা প্রদান করেন। কারণ দর্শানোর নেটিশটি এরইমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
নোটিশে উল্লেখ রয়েছে যে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, নেত্রকোনা জেলা শাখার দায়িত্বশীল পদে আসীন থেকে সাংগঠনিক শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগের ভিত্তিতে আপনার বিরুদ্ধে কেন স্থায়ী সাংগঠনিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, এই মর্মে আগামী শনিবারের (১৩ সেপ্টেম্বর) মধ্যে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের উপস্থিতিতে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে লিখিত ব্যাখ্যা প্রদানের নির্দেশ দেয়া হলো।
এদিকে, গত বুধবার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নেত্রকোনা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) সারোয়ার জাহান নামে এক প্রথম শ্রেণির ঠিকাদারকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি অনিক মাহবুব চৌধুরীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বুধবার দুই দফায় হামলা পাল্টা হামলার ঘটনায় এলজিইডি কার্যালয়ে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়। পরে রাতে সাবেক ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক ও সাবেক স্বেচ্ছাসেবক দলের সম্পাদক ঠিকাদার সারোয়ার জাহান জেলা ছাত্রদলের সভাপতি অনিক মাহবুব চৌধুরীসহ তিনজনের নাম উল্লেখ করে নেত্রকোনা মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন। পরে সংশোধনের কথা বলে রাতেই অভিযোগ তুলে নেন বলে জানা গেছে থানা ও জেলা পুলিশ সূত্রে।
এ ব্যাপারে ঠিকাদার সারোয়ার জাহানের সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, ‘অনিক চার থেকে পাঁচ দিন আগে আমার চেম্বারে এসে হুমকি দিয়ে যায়।
আমি যেন এলজিইডিতে টেন্ডার জমা না দেই। আমার কাছে ২০ লাখ টাকা চাঁদাও দাবি করে। আমি যদি টেন্ডার দেই তাহলে লাথি দিয়ে মদন পাঠাবে। তখন আমি বললাম আমার লাইসেন্স দিয়ে অনেকেই কাজ করে। লাগলে তুমিও কাজ করতে পারো। কিন্তু সে আমাকে এলজিইডিতে না যাওয়ার নির্দেশ দেয়। পরে বুধবার আমাকে এলজিইডিতে গিয়ে সকলের সামনে মারধর করে। এই জন্য অভিযোগ দিয়েছিলাম। পরে জেলা বিএনপির সভাপতির কথায় একদিনের জন্য স্থগিত রাখা হয়েছে।’
এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি অনিক মাহবুব চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
পুলিশ সুপার মির্জা সায়েম মাহমুদ জানান, ঘটনার পরপরই এলজিইডিতে পুলিশ পাঠানো হয়। এই ঘটনায় ঠিকাদার একটি লিখিত অভিযোগ দিয়ে পরে সংশোধনের কথা বলে তুলে নেন। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এমআর