ক্যারিবীয় প্রিমিয়ার লিগের (সিপিএল) এলিমিনেটর ম্যাচে ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে হেরে বিদায় নিয়েছে অ্যান্টিগা ও বারবুডা ফ্যালকন্স। আগে ব্যাট করা অ্যান্টিগার হয়ে ৯ বলে ২৬ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেছেন সাকিব আল হাসান। তবে শেষ পর্যন্ত তার ইনিংসটি কাজে আসেনি। নিকোলাস পুরানের ব্যাটিং ঝড়ে অ্যান্টিগাকে ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে ত্রিনবাগো।
গায়ানার প্রোভিডেন্স স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৬৬ রান করে অ্যান্টিগা। দলটির পক্ষে সাকিবের ক্যামিও ছাড়াও ফিফটি করেছেন আমির জাঙ্গু ও আন্দ্রেস গুস। লক্ষ্য তাড়ায় নাইট রাইডার্সরা দ্রুত উইকেট হারালেও, নিকোলাস পুরান ও অ্যালেক্স হেলস ১৪৩ রানের অবিচ্ছেদ্য জুটি গড়ে বড় জয় নিশ্চিত করেছেন। ১৫ বল ও ৯ উইকেট হাতে রেখে পাওয়া জয় ফাইনালে খেলার দৌড়ে টিকিয়ে রেখেছে ত্রিনবাগোকে।
এর আগে বড় লক্ষ্য দিতে নেমে যথারীতি দ্রুতই ওপেনার রাকিম কর্নওয়ালের (৬) উইকেট হারায় অ্যান্টিগা। দলের বড় ভিত গড়ে দেওয়ার লক্ষ্যে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ১০৮ রান এনে দেন আমির জাঙ্গু ও আন্দ্রেস গুস। যদিও তাদের জুটি আরও দ্রুত রান তুলতে পারলে বড় পুঁজি পেত অ্যান্টিগা। ধীরগতির ব্যাটিংয়ে সেটি কঠিন করে তোলেন জাঙ্গু। আউট হওয়ার আগে তিনি ৪৯ বলে ৩টি করে চার-ছক্কায় ৫৫ রান করেন। মার্কিন ব্যাটার গুস ৪৫ বলে ৫ চার ও ৩ ছক্কায় খেলেন ৬১ রানের ইনিংস।
জাঙ্গু-গুসের বিদায়ের পরই আসা-যাওয়ার মিছিল শুরু করে অ্যান্টিগার ব্যাটাররা। ৩২ রানের ব্যবধানে তারা ৬ উইকেট হারায়। মাঝে একপ্রান্ত আগলে রেখে ৯ বলে ৪টি চার ও এক ছক্কায় ২৬ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে অপরাজিত ছিলেন সাকিব। সেটাই মূলত অ্যান্টিগার পুঁজি ১৬৬–তে নিয়ে যায়। বিপরীতে ত্রিনবাগোর পক্ষে সৌরভ নেত্রভালকার সর্বোচ্চ ৩ ও উসমান তারিক ও আন্দ্রে রাসেল ২টি করে উইকেট নেন।
লক্ষ্য তাড়ায় নেমে দলীয় ২৫ রানে আউট হয়েছেন ত্রিনবাগোর কিউই ওপেনার কলিন মানরো (১৪)। এরপর আর দলটিকে পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। ১৪৩ রানের অবিচ্ছেদ্য জুটিতে জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন পুরান-হেলস।
অধিনায়ক পুরান ৫৩ বলে ৩ চার ও ৮ ছক্কায় ৯০ এবং হেলস ৪০ বলে ৩টি করে চার-ছক্কায় ৫৪ রানে অপরাজিত ছিলেন। ফলে ১৭.৩ ওভারেই ১ উইকেটে ১৬৮ রান তুলে জয় নিশ্চিত হয় ত্রিনবাগোর।
অ্যান্টিগার পক্ষে ৩ ওভার করে ২৪ রানে উইকেটশূন্য ছিলেন সাকিব। একমাত্র উইকেট পেয়েছেন কর্নওয়াল, তবে ৪ ওভারে খরচ করেন ৫০ রান।
এমকে/এসএন