হংকং চায়নার বিপক্ষে জিতলেও বাংলাদেশের সঙ্গে পেরে উঠতে পারেনি আফগানিস্তান। অর্থাৎ দুই ম্যাচ খেলা আফগানদের এক জয়ের বিপরীতে হার আছে একটিতে। দুই পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তিনে থাকলেও নেট রান রেটে সবার চেয়ে এগিয়ে আফগানিস্তান। রশিদ খানদের নেট রান রেট +২.১৫০ হওয়ায় শেষ ম্যাচ জিতলেই সুপার ফোরে জায়গা করে নেবে তারা। ১৮ সেপ্টেম্বর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তাই আফগানিস্তানের জয় চাই ই।
আফগানিস্তান যদি জিততে না পারে তাহলে ‘বি’ গ্রুপ থেকে সুপার ফোরে উঠে যাবে শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশ। আফগানদের সঙ্গে ৭০ রান কিংবা তার চেয়ে বেশি ব্যবধানে অথবা ৫৩ বল বাকি থাকতে হারলে বাদ পড়বেন চারিথ আসালাঙ্কা। ৪ পয়েন্টের সঙ্গে নেট রান রেটও ভালো থাকায় সবচেয়ে স্বস্তিতে শ্রীলঙ্কা। যদিও গুলবাদিন নাইব মনে করেন, আফগানিস্তানের চেয়ে শ্রীলঙ্কা বেশি চাপে থাকবে।
এ প্রসঙ্গে গুলবাদিন বলেন, ‘আমরা এসব টুর্নামেন্ট খেলে এখন অভ্যস্ত। কোনো চাপ নেই। হ্যাঁ, শ্রীলঙ্কা ভালো দল। তারা জিততে চাইবে। আপনি যদি ভাবেন আমরা চাপে আছি, শ্রীলঙ্কাও কিন্তু চাপে। তারা ২টা ম্যাচ জিতেছে, একটা বাকি আছে। আমরা একটা হেরেছি আর একটা জিতেছি। বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও তাই। আপনি যখন পেশাদার ক্রিকেট খেলবেন তখন প্রত্যেকটা দিনই কঠিন। আমার মনে হয় দারুণ একটা ম্যাচ হবে।’
২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সেমিফাইনালে যাওয়ার সমীকরণ নির্ভর করেছিল আফগানিস্তান ম্যাচের উপর। প্রথম ছয় ম্যাচের সবকটিতে হেরে আগেই বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গিয়েছিল আফগানিস্তান। সেই সময় দেশটির অধিনায়ক গুলবাদিন বলেছিলেন, ‘আমরা তো ডুবেছিই, তবে তোমাদের নিয়েই ডুবব।’ এবারও বাংলাদেশের সুপার ফোরে যাওয়া নির্ভর করছে আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কা ম্যাচের উপর।
গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে যদি শ্রীলঙ্কা জিতে যায় তাহলে তাদের সঙ্গে সেরা চারে যাবে বাংলাদেশ। আর যদি আফগানিস্তান জেতে তাহলে তখন নেট রান রেটের হিসেবে আসবে। স্বাভাবিকভাবেই নিজেদের জয়ের কথাই ভাববে আফগানরা। তবুও ম্যাচের আগের দিন পুরনো সামনে এনে গুলবাদিনের কাছে জানতে চাওয়া হয় এবারও তারা এমন কিছুই ভাবছে কিনা।
এ প্রশ্নের জবাবে আফগান অলরাউন্ডার বলেন, ‘দেখুন- প্রত্যেকটা দিন একটা নতুন দিন। অতীতে আপনি কী করেছেন কিংবা কী অর্জন করেছেন সেটার দিকে তাকাতে পারবেন না। প্রত্যেকটা দিনই চ্যালেঞ্জিং। আপনি যদি আমাদের ক্রিকেট দেখেন আমরা এখন আর ২০১৯ সালের অবস্থায় নেই। আমাদের জন্য নতুন একটা স্টেজ।’
‘আমরা অনেক কিছু অর্জন করেছি। আমাদের ক্রিকেট বোর্ড ভারত কিংবা অস্ট্রেলিয়ার বোর্ডের মতো নয়। কঠিন একটা সিচুয়েশন এবং আমরা এরকম সিচুয়েশন পছন্দ করি। আমরা এমন সিচুয়েশনের সঙ্গে বেশ পরিচিত। এরকম কঠিন সিচুয়েশন ফেস করতে আমরা ভালোবাসি। আপনি যদি আমাদের ক্রিকেট ইতিহাস দেখেন আমরা একটা কোথায় ছিলাম আর এখন কোথায় আছি। দুইটা সময়ের অনেক পার্থক্য।’
ইএ/টিএ