প্রথম দুই টি-টোয়েন্টিতে হার। তাও আবার বড় ব্যবধানে; প্রথম ম্যাচে ৩৩ রানে হারার পর দ্বিতীয় ম্যাচে ৫ উইকেটে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে নামিবিয়ার জন্য অপেক্ষা করছিল হোয়াইটওয়াশের লজ্জা। এমন একটা সময়েই বিধ্বংসী ব্যাটিং উপহার দিয়ে নামিবিয়াকে ২৮ রানে জিতিয়েছেন জ্যান ফ্রাইলিঙ্ক।
বুলাওয়েতে তৃতীয় ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল নামিবিয়া। প্রথম ৬ ওভারের মধ্যেই ৮৫ রান তুলে ফেলে তারা। এরমধ্যেই দারুণ কীর্তি করে ফেলেন ফ্রাইলিঙ্ক। চতুর্থ ওভারেই ফিফটিতে পৌঁছান তিনি। ছক্কা মেরে করা ১৩ বলের এই ফিফটিটি নামিবিয়ার হয়ে দ্রুততম তো বটেই, আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে তৃতীয় দ্রুততম। ১৩ বলে ফিফটি আছে অস্ট্রিয়ার মির্জা আহসান, তরুস্কের মুহাম্মদ ফাহাদ ও জিম্বাবুয়ের তাদিওয়ানাশে মারুমানির।
দ্রুততম ফিফটির রেকর্ডটি নেপালের দিপেন্দ্র সিংয়ের। মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে ২০২৩ সালে মাত্র ৯ বলে অর্ধশতক করেছিলেন তিনি। অবশ্য পূর্ণ সদস্য দেশগুলোর মধ্যে রেকর্ডটা ভারতের যুবরাজ সিংয়ের। ২০০৭ সালের বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১২ বলে ফিফটি করেছিলেন তিনি। ফ্রাইলিঙ্ক আউট হন দলীয় ১০২ রানে। ৩১ বলে ৭৭ রানের ইনিংসে ৮টি চার ও ৬টি ছক্কা হাঁকান তিনি। তার দল নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে করে ২০৪ রান। জিম্বাবুয়ের হয়ে রাজা নেন ৩ উইকেট।
ব্যাটিংয়ে যেমন শুরুটা ভালো হয়েছিল, জিম্বাবুয়েকে লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়ে তেমনি বোলিংয়ে ভালো করে নামিবিয়া। ফ্রাইলিঙ্ক করেছিলেন ব্যাটিংয়ে ভালো, বোলিংয়ে করলেন জেজে স্মিত। ৪৪ রানেই স্বাগতিকদের ৪ উইকেট তুলে নেয় তারা। শন উইলিয়ামস জিম্বাবুয়েকে লড়াইয়ে রাখলেও তিনি দলীয় ১৬২ রানে অষ্টম ব্যাটার হিসেবে আউট হয়ে গেলে জয়ের আশাও এক প্রকার শেষ হয়ে যায়। এরপর ১ বল হাতে রেখে অলআউট হওয়া জিম্বাবুয়ে আর মাত্র ১৪ রান করতে সক্ষম হয়।
স্মিত ২৯ রান খরচায় নেন ৪ উইকেট। জেরহার্ড এরাসমাস ও রুবেন ট্রাম্পেলম্যান নেন ২টি করে।
ইউটি/টিএ