জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে দীর্ঘ সময় ধরে বক্তৃতা করার রেকর্ড গড়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মঙ্গলবার সংস্থাটির অধিবেশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নির্ধারিত সময়ের কয়েক গুণ বেশি সময় ধরে ভাষণ দিয়ে এই রেকর্ড গড়েছেন তিনি।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলেছে, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে প্রত্যেক বক্তাকে সাধারণত ১৫ মিনিট সময় দেওয়া হয়। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মঙ্গলবার সেই সীমা ভেঙে ফেলেছেন।
৫৬ মিনিটের কিছু বেশি সময় ধরে টানা ভাষণ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এত সময় ধরে ভাষণ দেওয়াটা কেবল ট্রাম্পের ব্যক্তিগত রেকর্ডই নয়, বরং যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে কোনও প্রেসিডেন্টের জাতিসংঘে দেওয়া দীর্ঘতম ভাষণও এটি।
এর আগে, ১৯৭৪ সালে সাবেক ফিলিস্তিনি নেতা ইয়াসির আরাফাত জাতিসংঘে দেড় ঘণ্টা ভাষণ দিয়েছিলেন। তবে এই দুই বক্তৃতাকেই ছাড়িয়ে গেছেন কিউবার সাবেক প্রেসিডেন্ট ফিদেল কাস্ত্রো। একবার জাতিসংঘে টানা ২৬৯ মিনিট অর্থাৎ প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ভাষণ দিয়েছিলেন তিনি।
দ্বিতীয় মেয়াদে হোয়াইট হাউসে ফেরার পর জাতিসংঘে প্রথম ভাষণে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ব্যর্থতার জন্য বৈশ্বিক ওই সংস্থাকে দায়ী করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মঙ্গলবার উদ্বোধনী অধিবেশনে জাতিসংঘকে নিয়ে উপহাস করার পাশাপাশি সংস্থাটির বিরুদ্ধে অবৈধ অভিবাসন উৎসাহিত করার অভিযোগ করেছেন তিনি।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের মঞ্চে ফিরে ট্রাম্প অভিযোগ করেন, জাতিসংঘ পশ্চিমা দেশগুলোর ওপর অভিবাসনের মাধ্যমে একধরনের ‘আক্রমণ’ চালাচ্ছে। যা দেশগুলোকে ‘ধ্বংসের পথে নিয়ে যাচ্ছে’ বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বৈশ্বিক ওই মঞ্চে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার প্রচেষ্টারও তীব্র সমালোচনা করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে উদ্বেগকে ‘বিশ্বের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্রতারণা’ বলে অভিহিত করেন তিনি।
‘‘জাতিসংঘের উদ্দেশ্য আসলে কী?’’ প্রশ্ন করেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, তাদের যা করতে দেখা যায় তা হলো কেবল কড়া ভাষায় লেখা চিঠি পাঠানো। এসব ফাঁকা বুলি, আর ফাঁকা বুলি দিয়ে যুদ্ধ থামানো যায় না।
৭৯ বছর বয়সী ট্রাম্প নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরের ভাঙা এসকেলেটর ও টেলিপ্রম্পটার নিয়েও অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, ‘‘জাতিসংঘের কাছ থেকে আমি যে দুটি জিনিস পেয়েছি, তা হলো একটি ভাঙা এসকেলেটর এবং একটি খারাপ টেলিপ্রম্পটার।’’
সূত্র: বিবিসি, এএফপি।
এসএস/টিএ