জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে অংশ নিতে প্রধান উপদেষ্টার সরকারি সফরসঙ্গী হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে যান কয়েকটি রাজনৈতিক দলের নেতারা। তবে বিমানবন্দর থেকে বের হওয়ার সময় তারা আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মীদের হামলার মুখে পড়েন বলে অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক অঙ্গনে সমালোচনা ও বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।
সমালোচকরা বলছেন, প্রধান উপদেষ্টা সরকারের প্রধান হিসেবে সফরে থাকলেও তার সফরসঙ্গী হিসেবে রাজনৈতিক নেতাদের যাওয়া ঠিক নয়।
বিশেষ করে এমন নেতারা যারা ‘বডিগার্ড’ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বলে মনে হয়েছে। কেউ কেউ বলছেন, সরকার যদি বিশ্বকে দেখাতে চায় যে সব রাজনৈতিক পক্ষ ঐক্যবদ্ধ তবে সেটি দেখানোর জন্য এই ধরনের সফরেই রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিদের নিয়ে যাওয়া জরুরি ছিল না।
এছাড়া প্রশ্ন উঠেছে, বিএনপি ও জামায়াতের মতো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে এনসিপির প্রতিনিধিরাও কীভাবে এই সফরে গেলেন। যেখানে এনসিপি এখনো নির্বাচন কমিশনের তালিকাভুক্ত দল নয় এবং তাদের কোনো জনসমর্থনের প্রমাণও নেই।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ এই সফরটিকে ইতিবাচকভাবে দেখেন। তিনি বলেন, ‘যারা দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেছে, মাফিয়া শাসনের অবসান ঘটিয়েছে, তাদের নিয়ে ভবিষ্যতের সরকার গঠিত হবে। সেই সংকল্প ও সদিচ্ছা বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরতেই এই সফর। আমি মনে করি, এটি একটি সঠিক সিদ্ধান্ত।
তবে এনসিপির মতো একটি অনিবন্ধিত ও জনসমর্থনহীন দলকে নেওয়া উচিত হয়নি।’
ড. ইউনূসের সফরসঙ্গীদের ওপর হামলার বিষয়ে তিনি আরো বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বরাবরই সন্ত্রাসে অভ্যস্ত। তারা শুধু দেশেই নয়, বিদেশেও সহিংসতা ছড়াচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রে হামলাকারীদের নাম-পরিচয় ইতোমধ্যে প্রকাশ পেয়েছে। আমরা আশা করি, যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।
বাংলাদেশ দূতাবাসেরও এ বিষয়ে সক্রিয় ভূমিকা রাখা উচিত।’
এমআর