আ. লীগ যখন রাস্তায় নেমেছে বিএনপি প্রটেক্ট করেছে, জামায়াত-এনসিপিকে কখনো দেখা যায়নি : জাহেদ উর রহমান

রাজনৈতিক বিশ্লেষক ডা. জাহেদ উর রহমান বলেছেন, ‘এতদিন পর্যন্ত আওয়ামী লীগ যখন রাস্তায় মিছিল নিয়ে নেমেছে ছাত্রদল, যুবদল বা বিএনপির লোকজন সেটাকে প্রটেক্ট করেছে, সেটাকে থামিয়েছে। কখনো কখনো কিছু হালকা আঘাত করেছে। করে পুলিশের হাতে হস্তান্তর করেছে। জামায়াতকে-এনসিপিকে কখনো এ ধরনের মিছিল থামাতে দেখা যায়নি।

বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) নিজের ইউটিউব চ্যানেলে এক ভিডিওতে তিনি এসব কথা বলেন।

ডা. জাহেদ বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন এলাকায় আওয়ামী লীগের অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে যে মামলা হচ্ছে এগুলো মূলত বিএনপির লোকজন করছেন, হওয়ারই কথা। আমরা এখন জামায়াতের এই শেষ মুহূর্তে এসে তাদের ভূমিকার কথা দেখছি।’

তিনি আরো বলেন, ‘জামায়াত তো আসলে ১৪-১৫ সালের পর পুরোপুরি থেমে গিয়েছিল।

তারা খুবই টাফভাবে মাঠে ছিল, যখন তাদের নেতাদের ফাঁসি দিচ্ছিলেন শেখ হাসিনা। এরপর জামায়াত একেবারে শেখ হাসিনার কথা মতো তিনি যা যা চেয়েছেন তাই তাই করেছে, একেবারে চুপ হয়ে গেছে। কোনোদিন কোথাও কোনোভাবে কোনো কঠোর অবস্থান নিতে দেখিনি।’

এই রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলেন, ‘বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের একরকম ছাড়াছাড়ি রয়েছে।

মানলাম বিএনপি জামায়াতকে ইগনোর করে চলতে শুরু করেছে। কিন্তু শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কি জামায়াতের কোনো অভিযোগ নাই? তার বিরুদ্ধে জামায়াত কি স্বতন্ত্রভাবে কোনো মুভমেন্ট করতে পারতো না? করেনি তো।’

তিনি বলেন, ‘২৮ অক্টোবর ২০২৩, বিএনপির ওপরে যেদিন মারাত্মক ক্র্যাকডাউন হলো, সেদিন জামায়াত সুখে শান্তিতে সমাবেশ করে বাড়ি ফিরে গিয়েছিল। মনে আছে আমাদের নিশ্চয়ই। তার মানে জামায়াতের ওপরে অন্যায় নিপীড়ন একটা পর্যায়ে এসে থেমে গেছে, কারণ জামায়াত চুপ হয়ে গিয়েছিল।

এসএন 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
আইপিএল নিলামের আগে ট্রেডে দল পাল্টালেন ৬ তারকা ক্রিকেটার Nov 14, 2025
img
আগে গণভোট পরে জাতীয় নির্বাচন, না হয় নির্বাচন হবে না: এ টি এম মাসুম Nov 14, 2025
img
ভোলার ভেদুরিয়া সার কারখানা স্থাপনের সম্ভাব্য স্থান পরিদর্শনে ৩ উপদেষ্টা Nov 14, 2025
img
পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির মেয়াদ বাড়ছে আরও ৫ বছর Nov 14, 2025
img
ম্যাচটা অবশ্যই জেতা উচিত ছিল: হামজা চৌধুরী Nov 14, 2025
img
গাজীপুরে বিএনপিতে যোগ দিলেন ৮ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর পাঁচ শতাধিক সদস্য Nov 14, 2025
img
পুলিশ হেফাজতে ২ চীনা নাগরিক Nov 14, 2025
img
ক্রিকেটপাড়ায় তোলপাড় : স্মৃতি মান্ধানার ‘বিয়ের কার্ড’ ভাইরাল Nov 14, 2025
img
প্রধান উপদেষ্টার ভাষণের মাধ্যমে সংকট কেটে গেছে : নুরুল হক নুর Nov 14, 2025
img
যুবসমাজ মাতাতে গ্লোবট্রটর মঞ্চে আশিষ Nov 14, 2025
img
ফের জল্পনায় বলিউড ও আইপিএলের অনিরুদ্ধ-কাব্য জুটি! Nov 14, 2025
img
রাজধানীজুড়ে বাড়তি সতর্কতা, মাঠে ১২ প্লাটুন বিজিবি Nov 14, 2025
img
লকডাউন-অগ্নিসংযোগে নির্বাচন বিরোধী মহলেরও সম্পৃক্ততা থাকতে পারে : হাবিব Nov 14, 2025
দিল্লি যাচ্ছেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান Nov 14, 2025
img
কেন পুতিনকে যুদ্ধ থামাতে রাজি করাতে পারছেন না ট্রাম্প? Nov 14, 2025
img
চট্টগ্রামে জোড়া খুন তুচ্ছ ঘটনায় এনায়েত বাজারে প্রাণ গেলো ব্যবসায়ির Nov 14, 2025
img
পুসকাস পুরস্কারের দৌড়ে উঠলেন ইয়ামাল, ফের মনোনীত মার্তা Nov 14, 2025
ঘাতক লিমন আটক, ৫ বছরের সম্পর্কের দাবি Nov 14, 2025
রাজশাহীতে বিএনপির নারী কর্মীকে মারধরের অভিযোগ জামায়াত কর্মীর বিরুদ্ধে Nov 14, 2025
img
অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে বিচারকের ছেলের মৃত্যু, জানালেন চিকিৎসক Nov 14, 2025