কাতারকে নিরাপত্তার ওয়াদা দিয়ে একটি নির্বাহী আদেশ সই করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এতে বলা হয়েছে, কাতার ফের হামলার শিকার হলে দেশটির নিরাপত্তা ও ভৌগোলিক অখণ্ডতা সুরক্ষায় সামরিক পদক্ষেপ নেবে যুক্তরাষ্ট্র।
গত ৯ সেপ্টেম্বর কাতারের দোহায় মার্কিন যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার সময় আকস্মিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইসরাইল। ওই হামলায় হামাসের নিম্নপদস্থ পাঁচজন সদস্য এবং কাতারের একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা নিহত হন। তবে হামাসের শীর্ষ নেতারা ওই হামলা থেকে প্রাণে বেঁচে যান।
এই হামলার পর ব্যাপক সমালোচনা ও বিতর্কের মুখে পড়ে ইসরাইল ও তাদের মিত্র যুক্তরাষ্ট্র। আরব বিশ্বের পাশাপাশি মুসলিম দেশগুলোর এর তীব্র নিন্দা জানায়। ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে বিচারের আওতায় আনার ঘোষণা দেয় কাতারি কর্তৃপক্ষ।
অবশেষে গত সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের সময় নেতানিয়াহু কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মেদ বিন আব্দুল রহমান বিন জসিম আল থানির কাছে দোহায় হামলার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমতা চান।
এরপর হোয়াইট হাউসের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ইসরাইলের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অনিচ্ছাকৃতভাবে একজন কাতারি নিরাপত্তা কর্মকর্তা নিহত হওয়ায় নেতানিয়াহু গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
এর দুদিন পর বুধবার (১ অক্টোবর) ট্রাম্প কাতারের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিয়ে নির্বাহী আদেশ স্বাক্ষর করলেন। আদেশে তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও কাতার ‘ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা, অভিন্ন স্বার্থ ও আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে দৃঢ় সম্পর্কে আবদ্ধ।’
ইএ/টিএ