দেশের পাঁচ জেলায় পৃথক বজ্রপাতে একদিনেই ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (৫ অক্টোবর) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত এসব বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে বলে স্থানীয় প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরে জানা গেছে।
ঝিনাইদহ
রোববার সকালে মাঠে কাজ করার সময় পৃথক বজ্রপাতের ঘটনায় সদর উপজেলার আড়মুখী গ্রামের শমসের বিশ্বাসের ছেলে শিমুল বিশ্বাস (২৮) ও শৈলকূপা উপজেলার শেখড়া গ্রামের হুরমত শেখ (৫৫) মারা যান। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর ও শৈলকূপা থানার ওসি মাসুম খান ও আব্দুল্লাহ আল মামুন।
কুমিল্লা
রোববার বিকেলে কুমিল্লার হোমনা উপজেলার ভবানীপুর খেয়াঘাট এলাকায় বজ্রপাতে দুই নারীসহ তিনজন মারা যান। নিহতরা হলেন নালা দক্ষিণ গ্রামের মৃত হাজী মতিউর রহমানের মেয়ে মমতাজ বেগম (৩৫), জাকিয়া (২৫), এবং খোদে দাউদপুর গ্রামের রাহিনুর ইসলামের ছেলে রাশেদ মিয়া (২২)।
এ ঘটনায় হোমনা থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ
আড়াইহাজার উপজেলার কালাপাহাড়িয়া এলাকায় বিকেলে বজ্রপাতে ওয়াসিম (১৩) নামে এক স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়। সে স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র এবং উলুকান্দি এলাকার দিলা মিয়ার ছেলে।
সোনারগাঁ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. ফজলুল হক জানান, ওয়াসিমকে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়।
কুড়িগ্রাম
বিকেলে কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে পৃথক বজ্রপাতে মাদরাসা শিক্ষার্থীসহ দুই শিশুর মৃত্যু হয়। নিহতরা হলেন কালিকাপুর এলাকার নূর হোসেনের ছেলে দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী মোহাম্মদ বাবলু মিয়া (৭) এবং বামনডাঙা ইউনিয়নের চর লুচনি গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে সহিব।
গাইবান্ধা
দুপুরে গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার দীঘলকান্দী গ্রামে বজ্রপাতে আব্দুল আজিজ (৪৫) নামে এক কৃষক মারা যান। তিনি ওই গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে। সাঘাটা থানার ওসি বাদশা আলম জানান, এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
এমকে/টিকে