বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন, ‘শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও বেগম খালেদা জিয়ার পদাঙ্ক অনুসরণ করে তারেক রহমান কৃষক ও কৃষির কল্যাণে যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। শুধু কৃষি বা কৃষক নয়, শ্রমিক-নারী, যুবক-বেকার, ছাত্র, শিক্ষক, মৎস্যজীবী, তাঁতি, ব্যবসায়ীসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষের কল্যাণে বিএনপি পরিবর্তনের অঙ্গীকার নিয়ে তারেক রহমানের নেতৃত্বে ইতিবাচক রাজনীতির সূচনা করছে।’
তিনি বলেন, ‘তারেক রহমানের দুই চোখে পরিবর্তনের আলো, তার দৃষ্টিজুড়ে দেশ ও জনগণ। পরিবর্তনের আওয়াজ তুলে তারেক রহমান রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা দিয়েছেন, কল্যাণ রাষ্ট্র গঠনে গণ ঐক্যের ডাক দিয়েছেন, জনকল্যাণে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ভাগ্য পরিবর্তনে একগুচ্ছ পরিকল্পনা হাজির করেছেন, অন্যান্য পরিকল্পনাও পাইপলাইনে আছে। তাই চলুন, তারেক রহমানের হাতে হাত রেখে এগিয়ে যাই সমৃদ্ধির সোপানে।’
সোমবার (৬ অক্টোবর) ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার গামারিতলা ইউনিয়নে পৃথক ওয়ার্ড বিএনপির সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রিন্স।
এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, “আগামীতে বিএনপি সরকার প্রতিটি পরিবারে মা বা গৃহিণীর নামে ‘ফ্যামিলি কার্ডে’র মাধ্যমে সেই পরিবারের সাংসারিক প্রয়োজনে প্রয়োজনীয় দ্রব্যের একটি অংশ বিনা মূল্যে প্রদান করবে। পরিবারের শিক্ষিত বেকারকে এক বছর বেকার ভাতা প্রদান করবে। প্রান্তিক কৃষককে দুটি ফসলের মধ্যে একটি ফসলের উৎপাদন খরচ প্রদান এবং প্রতিটি ইউনিয়নে একটি ধান ক্রয় কেন্দ্র সরকার স্থাপন করবে। সরকার গঠনের প্রথম ১৮ মাসের মধ্যে এক কোটি মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে।”
তিনি বলেন, ‘চির অবহেলিত ধোবাউড়ার উন্নয়নে বিএনপির আগামী সরকার সমন্বিত পরিকল্পনা গ্রহণ করবে ।আমাদের লক্ষ্য একটি আলোকিত ধোবাউড়া ও হালুয়াঘাট গড়ে তোলা, যেখানে গ্রামীণ অবকাঠামো নির্মাণসহ বেকার সমস্যার সমাধান এবং ঘরে ঘরে সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যের পরিবেশ গড়ে তোলা হবে।
অনেক সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও বিগত দিনে ধোবাউড়ার উন্নয়নে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় নাই। ইনশাআল্লাহ আগামী দিনে ধোবাউড়া- হালুয়াঘাট আসনে ধানের শীষ বিজয়ী হয়ে এবং বিএনপি সরকার গঠন করে ধোবাউড়ার উন্নয়নের সার্বিক পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে। ধোবাউড়া সদরকে পৌরসভা ঘোষণা করা এবং কলকারখানা স্থাপন করে কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করা হবে। ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্প্রসারণ এবং একই সাথে রাস্তাঘাট ব্রিজ, কালভার্ট, মসজিদ, মাদরাসা, মন্দির, গির্জাসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন, পানীয় জলের সমস্যা সমাধান করা হবে। ক্ষুদ্র জাতি গোষ্ঠী গারো ও হাজং সম্প্রদায়ের সমস্যার সমাধানে তাদের নিরাপত্তাসহ তাদের পল্লীতে বিদ্যুতায়ন ও রাস্তাঘাট নির্মাণ, একই সাথে তাদের সংস্কৃতি, জীবনধারা ও ধর্ম-কর্ম পালনের সম্পূর্ণ স্বাধীনতার নিশ্চয়তা বিধান করা হবে।
ইউটি/টিকে