এখন আর কোনো দল আমাদের হালকাভাবে নেবে না: ফাহিমা

পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়ে শুরুর পর শক্তিশালী ইংল্যান্ডকেও প্রায় ধসিয়ে দিচ্ছিলেন মারুফারা। জয়ের আশা জাগিয়েও ৪ উইকেটে হেরে যায় বাংলাদেশ। ১৭৯ রানের টার্গেট ছুঁড়ে দিয়ে ১০৩ রানে প্রতিপক্ষের ৬ উইকেট শিকার করে জয়ের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিল টাইগ্রেসরা। কিন্তু সপ্তম উইকেটে ১০০ বলে ৭৯ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে বাংলাদেশের জয়ের আশা ধুলিসাৎ করে দেন হেদার নাইট ও চার্লি ডিন। ৮টি চার ও একটি ছক্কায় ১১১ বলে ৭৯ রানে অপরাজিত ছিলেন নাইট।

১০ ওভারে মাত্র ১৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েও বাংলাদেশের হার এড়াতে পারেননি ফাহিমা। ম্যাচ শেষে ফাহিমা বলছিলেন, ‘আমরা নাইটের উইকেট শিকারের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছিলাম। যদি গুরুত্বপূর্ণ সময় তাকে আউট করতে পারতাম তাহলে ম্যাচের চিত্র অন্যরকম হতো।’

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জিততে না পারলেও এবারের বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানকে ৭ উইকেটে হারিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল বাংলাদেশ। চলমান নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপে পরের ম্যাচগুলোতে প্রতিপক্ষ যেন বাংলাদেশকে হালকাভাবে না নেয়, সেজন্য সর্তক করে দিয়েছেন বাংলাদেশের এই লেগ স্পিনার। 



ফাহিমা বলেন, ‘দারুণ জয় দিয়ে বিশ্বকাপে আমাদের যাত্রা শুর করি। তাই আমরা খুব আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। আমরা ২০-৩০ রানে কম করেছিলাম। আমরা যদি এই ধারা অব্যাহত রাখতে পারি তাহলে কোনো দলই আমাদের সহজভাবে নিতে পারবে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য ছিল শুধু ভালো ক্রিকেট খেলা না, আমরা ম্যাচ জয়ের জন্য যাব। সেখানে আমাদের প্রতিপক্ষ যেই হোক না কেন। আমরা আমাদের শক্তি অনুযায়ী খেলব এবং নির্দিষ্ট দিনে ভালো খেলার চেষ্টা করব।’

পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের জয়ের নায়ক ছিলেন পেসার মারুফা আক্তার। ৩১ রানে ২ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছিলেন তিনি। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বল হাতে দারুণ শুরু করেছিলেন মারুফা। ৫ ওভারে ২৮ রানে ২ উইকেট নেন এই ডান-হাতি পেসার। কিন্তু ফিল্ডিংয়ের সময় পেশীর টানে মাঠের বাইরে চলে যান মারুফা। পরবর্তীতে আর বোলিং করতে পারেননি তিনি। 

মারুফার ইনজুরি নিয়ে ফাহিমা বলেন, ‘ক্র্যাম্প সমস্যায় পড়েছেন মারুফা। সে এখন ভালো আছে। আমি মনে করি তার বোলিং করতে না পারা আমাদের হারের অন্যতম কারণ। সে যদি আরও দুই বা তিন ওভার বল করতো, তাহলে আমাদের জন্যই ভালো হতো। আমরা তাকে মিস করেছি।’ আগামীকাল (শুক্রবার) নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।

এসএস/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
গণভোটে যদি ‘না’ জিতে যায়, তাহলে পুরো সংস্কার কার্যক্রমই ভেস্তে যাবে: মাসুদ কামাল Oct 09, 2025
img

সাইবার হামলার শঙ্কা

দেশের সব বিমানবন্দরে সতর্কতা জারি Oct 09, 2025
img
পরপর ফ্লপের পরও অটুট জাহ্নবী কাপুরের জনপ্রিয়তা Oct 09, 2025
img
ডেঙ্গুতে আরও ৪ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৭৮১ Oct 09, 2025
img
কন্নড় সিনেমায় নিষিদ্ধের গুঞ্জনে মুখ খুললেন রাশমিকা মান্দানা Oct 09, 2025
img
‘আশ্রম’ থেকে ‘অ্যানিম্যাল’, বলিউডে প্রত্যাবর্তনের সেরা উদাহরণ ববি Oct 09, 2025
img
ভূমি অফিসকে মানুষের আস্থার প্রতীক হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে হবে: সিনিয়র সচিব Oct 09, 2025
img
সমাজে শান্তি ও নৈতিকতার বিস্তার ঘটাতে চায় বিএনপি : প্রিন্স Oct 09, 2025
img
বদলির পর ওএসডি এনবিআর সদস্য বেলাল Oct 09, 2025
img
হংকংয়ের মুখোমুখি বাংলাদেশ, ভাগ্য নির্ভর করছে আজকের ম্যাচে Oct 09, 2025
img
সাহিত্যে নোবেল পেলেন হাঙ্গেরিয়ান ঔপন্যাসিক লাসৎল ক্রাসৎনাহরকাই Oct 09, 2025
img
অভিনেতা প্রিয়াংশুর অর্ধনগ্ন নিথরদেহ উদ্ধার Oct 09, 2025
img
সাংবিধানিক রক্ষাকবচ হবে দ্বিকক্ষ সংসদ: আখতার হোসেন Oct 09, 2025
img
বিসিএস পরীক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যে ১৩টি বাস সুবিধা দিলো ইবি Oct 09, 2025
img
পুলিশের বিশেষ অভিযানে আরও ১৬৩২ জন গ্রেপ্তার Oct 09, 2025
img
অভিনেতা প্রিয়াংশুর অর্ধনগ্ন মৃতদেহ উদ্ধার Oct 09, 2025
img
লো স্কোরিং থ্রিলার ম্যাচ জিতে কোয়ালিফায়ারে রংপুর Oct 09, 2025
img
এনসিপির সঙ্গে জার্মান রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ Oct 09, 2025
img
গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় আমি গভীরভাবে আনন্দিত: এরদোয়ান Oct 09, 2025
img
রংপুরে বিসিবির আঞ্চলিক অফিস না থাকায় ক্ষোভ Oct 09, 2025