ছাত্রলীগের প্রতি "কৃতজ্ঞ" জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম বলেছেন, আমার সহকর্মী কর্মকর্তা কর্মচারীসহ সব ছাত্রছাত্রী বিশেষ করে ছাত্রলীগের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। কারণ তারা দায়িত্ব নিয়ে এ কাজটি করেছে। এখন সুষ্ঠুভাবে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার জন্য সবাই আমাকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবেন।

মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের কনফারেন্স রুমে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন উপাচার্য। বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান আন্দোলন বিষয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

জাবির সেই চাঁদার টাকা হয় হরিলুট, অন্তরের খোলা চিঠি

ছাত্রলীগকে দেড় কোটি টাকা দেয়ার বিষয়টি সাজানো গল্প: জাবি উপাচার্য

ছাত্রলীগকে ১ কোটি টাকা দিয়েছি এটা প্রমাণ করুক: জাবি ভিসি

জাবির ১৪০০ কোটি টাকার প্রকল্পের ছয় পার্সেন্ট চাঁদা দাবি শোভন-রাব্বানীর

অভিযোগ প্রমাণিত হলে জাবি ভিসির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: কাদের

ভিসি বলেন, আন্দোলনকারীরা তিন মাস থেকে বিভিন্নভাবে বাধা দিচ্ছে। আমাদের চিন্তা করতে হবে কারা, কেন, কীভাবে ব্যক্তিগত পর্যায় থেকে বিশ্ববিদ্যালয়কে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যেতে চায়। একটা মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে আমাকে অসম্মান ও অপদস্থ করা হয়েছে। কিন্তু এটা করা হয়েছে কোনও প্রমাণ ছাড়াই। যদি কোনও প্রমাণ থাকে, যদি প্রমাণ পায়, তাহলে যা বিচার হবে তা মেনে নেব।

তিনি বলেন, সংবাদমাধ্যমকে তারা অনবরত মিথ্যা তথ্য দিয়েছে, মিথ্যা বলেছে। দেশের একটা জাগরণের সুযোগ এসেছে যে আমরা সত্য কথা বলার সুযোগ পাব কিনা। আজ মানুষের জেগে ওঠা আমরা দেখেছি। 

সাংবাদিকদের ব্রিফিং শেষে জরুরি সিন্ডিকেট সভায় অংশ নেন উপাচার্য। যেখানে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

দুর্নীতির অভিযোগে জাবি উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের বিরুদ্ধে বেশ কিছুদিন ধরেই আন্দোলন চলছে। তার অপসারণ দাবিতে সোমবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে তাকে বাসভবনে অবরুদ্ধ করে রেখেছিলেন ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারে আন্দোলনরতরা। আজ মঙ্গলবার নিয়ে টানা ১১ দিন প্রশাসনিক ভবন অবরোধ এবং দশম দিনের মতো সর্বাত্মক ধর্মঘট পালন করেন আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। ফলে কার্যালয়ে যেতে পারছিলেন না উপাচার্য।

অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ জাবি

 

টাইমস/এইচইউ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
দীপিকার সঙ্গে দেখা হলে কেন অস্বস্তিতে ভোগেন আনুশকা! Jul 07, 2025
img
বিএনপির ৩১ দফার মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ: মির্জা ফখরুল Jul 07, 2025
img
ল্যাভেন্ডার বাগানে মোহনীয় সাবিলা নূর Jul 07, 2025
img
শেখ হাসিনার সাবেক এপিএস লিকুর সম্পদ জব্দের আদেশ Jul 07, 2025
img
কর্মকর্তাদের ভয়ের কিছু নেই, সীমা লঙ্ঘনকারীদের ভিন্নভাবে দেখা হবে : এনবিআর চেয়ারম্যান Jul 07, 2025
মুক্তির আগেই বিশ্বরেকর্ড গড়লো হৃতিক-এনটিআরের ‘ওয়ার টু Jul 07, 2025
চাঁদাবাজির অভিযোগে বিএনপির চার নেতা বহিষ্কার, রিজভীর স্বাক্ষরে চিঠি Jul 07, 2025
img
সরকার নির্বাচন এড়িয়ে যাওয়ার ষড়যন্ত্র করছে: মির্জা আব্বাস Jul 07, 2025
img
সাড়া দেয়নি ইউরোপ, সেপ্টেম্বরে এশিয়ার কোন দেশের বিরুদ্ধে খেলবে হোমজারা? Jul 07, 2025
img
ব্যক্তিস্বার্থে নয়, দেশের স্বার্থেই দুদকের সহায়তা চাওয়া হয়েছে: আহমদ তৈয়্যব Jul 07, 2025
img
রণবীর সিং-কে নিয়ে এক দশক পর ফিরছে ডন সিরিজ Jul 07, 2025
img
প্রধান বিচারপতির বাসভবনের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ Jul 07, 2025
img
গত ১৭ বছরে পিওনের চাকরিতেও এমপি-মন্ত্রীদের ডিও লেটার লেগেছে: ফয়েজ আহম্মদ Jul 07, 2025
img
রাজধানীর বাইরে হাইকোর্ট বেঞ্চ স্থাপন ঠেকাতে আবেদন Jul 07, 2025
ঐক্যবদ্ধভাবে বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে পারব –নাটোরে নাহিদ Jul 07, 2025
রাজউকের অভিযানে স্থানীয়র বাধা; পরে যা জানা গেলো... Jul 07, 2025
img
ক্লাব বিশ্বকাপে গোল্ডেন বুট জয়ের দৌড়ে যারা এগিয়ে Jul 07, 2025
img
‘ক্লাইমেট চেঞ্জ ট্রাস্টকে শক্তিশালী করতে ১০ বছরের স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যান প্রণয়ন করা হবে’ Jul 07, 2025
img
ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূতের সাথে হেফাজত আমিরের সৌজন্য সাক্ষাৎ Jul 07, 2025
img
রিয়েল এস্টেট সংস্থার হয়ে প্রচারের কারণে মহেশ বাবুকে আইনি নোটিশ Jul 07, 2025