সাবেক সংসদ সদস্য ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক গোলাম মাওলা রনি বলেছেন, সরকারের সাথে এতকাল যাদের সম্পর্ক ছিল- জামায়াতের, এনসিপির এবং অন্যান্য যে সকল আমলাকামলা রয়েছেন তারা তলে তলে চমৎকার কিছু কর্মকাণ্ড করে যাচ্ছেন। ফলে সারা বাংলাদেশে হাহাকার, হতাশা, বেকারত্ব, অর্থনৈতিক দুরবস্থা এগুলো তৈরি হয়ে যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এই ফেব্রুয়ারির নির্বাচন নিয়ে নানা রকম নেতিবাচক কথাবার্তা শুরু হয়ে গেছে।
সম্প্রতি নিজের ইউটিউব চ্যানেলের এক ভিডিওতে তিনি এসব কথা বলেন।
গোলাম মাওলা বলেন, ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথমার্ধে একটা নির্বাচন হবে। এ ধরনের কথাবার্তা বলা হচ্ছে। কিন্তু দেশের মানুষ বিশ্বাস করছে না। নির্বাচন কি আদৌ হবে? আর নির্বাচন হলে কি হবে? আবার নির্বাচন যদি না হয় তাহলে কি হবে? এগুলো নিয়ে খুব আলাপ আলোচনা হচ্ছে।
সরকারের পক্ষ থেকে যে সকল কথাবার্তা বলা হচ্ছে সেগুলো পরস্পর বিরোধী।
তিনি বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের যে অভিব্যক্তি, প্রকাশভঙ্গি, দৃঢ়তা, মাস্টার প্ল্যান সে অনুযায়ী ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচন হওয়ার মত কোনো লক্ষণ অন্ততপক্ষে দেখতে পাই না। ড. ইউনূসের কথা এবং তার ন্যারেটিভকে বিচার-বিশ্লেষণ করেন এটাই হবে।
রনি বলেন, আমেরিকাতে যখন একটা প্রেসিডেনশিয়াল নির্বাচন হয় সেখানে দুই-তিন বছর আগে থেকে হৈ-হুল্লোড় থাকে।
প্রাইমারি সিলেকশন, প্রার্থী সিলেকশন, সেই প্রার্থীদের মধ্যে আবার দু বছর ধরে লঙ্কা-কাণ্ড ঘটে। চার বছর একজন প্রেসিডেন্ট ক্ষমতায় থাকে কিন্তু সেই প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা আসার জন্য তাকে দুই বছর কন্টিনিউয়াসলি একটা রেসিং এর মধ্যে থাকতে হয়।
রনি আরো বলেন, আমাদের দেশে মোটামুটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের এক বছর আগে থেকেই এরকম একটা পরিস্থিতি তৈরি হয়। যারা এমপি তারা ধরে নেয় ক্ষমতা শেষ তাদের কথা কেউ শোনে না। নতুন কারো জন্য অপেক্ষা করতে থাকে জনগণ, নতুন কাউকে ভোট দেওয়ার কথা চিন্তা করে।
এগুলো নিয়ে সারা বাংলাদেশে নির্বাচনের একটা আমেজ তৈরি হয়। সেটি কি হয়েছে? হয়নি। তাহলে ফেব্রুয়ারির নির্বাচন দেখেন কোথায়?
টিজে/টিকে