কাঁচপুর-মেঘনা-গোমতী সেতু নির্মাণে ১২০০ কোটি টাকা সাশ্রয়ের দাবি

দ্বিতীয় কাঁচপুর, মেঘনা ও গোমতী সেতু নির্মাণ এবং বিদ্যমান সেতু পুনর্বাসন প্রকল্পে সরকারের সাশ্রয় হচ্ছে প্রায় ১২শ কোটি টাকা।

কীভাবে সাশ্রয় হলো এত টাকা- এমন প্রশ্নের জবাবে প্রকল্প পরিচালক আবু সালেহ মো. নুরুজ্জামান বাংলাদেশ টাইমসকে বলেন, ‘নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই শেষ হয়েছে এই তিন প্রকল্প। দ্বিতীয় কাঁচপুর, দ্বিতীয় মেঘনা ও দ্বিতীয় গোমতী সেতুর নির্মাণ প্রকল্পে সরকারের ৭০০ কোটি টাকা ও উন্নয়ন সহযোগী জাইকার ৫০০ কোটি টাকা সাশ্রয় হতে পারে। এ হিসাব প্রাথমিক। তবে আমরা প্রকৃত খরচের চিত্র সঠিকভাবে নিরূপণ করতে পারিনি। আগামী ডিসেম্বরে প্রকল্পের হিসাব চূড়ান্তের পর প্রকৃত সাশ্রয় কত টাকা তা জানা যাবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্বিতীয় মেঘনা ও দ্বিতীয় গোমতী সেতু উদ্বোধন করেন মে মাসে। এর আগে চলতি বছরের ১৬ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শীতলক্ষ্যা নদীর ওপর দ্বিতীয় কাঁচপুর সেতুর উদ্বোধন করেন। এসব সেতু চালুর মধ্য দিয়ে অর্থনৈতিক লাইফলাইন হিসেবে পরিচিত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজট কমেছে।

প্রকল্প পরিচালক আবু সালেহ বলেন, প্রথম মেঘনা ও গোমতী সেতু পুনর্বাসনের কাজ চলমান। আর তা শেষ হবে ডিসেম্বরে। তখন এ দুইটি সেতুতেও গাড়ি চলাচল করবে। তখন রাস্তা হবে চার লেনের আর সেতু হবে ছয় লেনের।

সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সাশ্রয় হওয়া এ ১২০০ কোটি টাকা মদনপুরে ফ্লাইওভার নির্মাণ ও  এ মহাসড়কে আরও কিছু স্থাপনা নির্মাণে খরচ করা হতে পারে।

প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, কাঁচপুর সেতুর মূল অংশ নির্মাণে বরাদ্দ ছিল ৯৫০ কোটি টাকা।  পুরাতন সেতুর পুনর্বাসন ২৭০ কোটি টাকা ও ওভার পাস নির্মাণে ৮০ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল। সব মিলিয়ে  বাজেট ছিল ১৩০০ কোটি টাকা। মেঘনা সেতুর বাজেট ছিল ১৭৫০ কোটি, পুরাতন সেতুর পুনর্বাসনের ৫০০ কোটি টাকাসহ ২২৫০ কোটি টাকার বরাদ্দ ছিল। আর গোমতি সেতুর জন্য বরাদ্দ ছিল ১৯৫০ কোটি টাকা। আর পুরাতন সেতু পুনর্বাসন বাবদ ৪৫০ কোটি টাকার বরাদ্দসহ মোট বাজেট ছিল ২৪১০ কোটি টাকা। প্রকল্পে যৌথভাবে জাপানের চারটি প্রতিষ্ঠান কাজ করছে।

২০১৬ সালের ৩ জানুয়ারিতে সেতু তিনটির কাজ শুরু হয়। এ বছরের জুনে সম্পন্ন করার কথা থাকলেও তা আগেই শেষ হয়।

 

টাইমস/টিআর/এসআই

 

Share this news on:

সর্বশেষ

যেভাবে লাইসেন্স পেয়েছিলেন উপদেষ্টা আসিফ Jul 02, 2025
আদালত অবমাননার মামলায় শেখ হাসিনার ৬ মাসের কারাদণ্ড! Jul 02, 2025
রংপুর-৪ আসনে নির্বাচন করবেন এনসিপির আখতার হোসেন Jul 02, 2025
সরকারি চাকরির অর্ধেকেই কাজ করে না; আইন উপদেষ্টা Jul 02, 2025
লালমনিরহাটের কি কি সমস্যা আছে? সাধারণ জনতার কাছে জিজ্ঞেস করলেন নাহিদ Jul 02, 2025
img
দেশের ৩৩ ডেপুটি জেলারকে বদলির আদেশ Jul 02, 2025
পটিয়ার ঘটনায় রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয় থেকে যা জানা গেল Jul 02, 2025
জুলাইয়ের ১বছর; যা ভাবছে ভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ! Jul 02, 2025
img
বিপ্লব ভণ্ডুল করার চক্রান্ত করে সর্বশক্তি নিয়ে মাঠে নামছে আওয়ামী লীগ : রনি Jul 02, 2025
img
হাসিনা-কাদের-কামাল-শামীমের বিরুদ্ধে আরও ৪ হত্যা মামলা Jul 02, 2025
img
টাইগার পেসারদের তোপে ২৪৪ রানেই গুটিয়ে গেল শ্রীলঙ্কা Jul 02, 2025
img
এবার শ্রীলঙ্কায় শুরু হলো স্টারলিংকের ইন্টারনেট সেবা Jul 02, 2025
img
সংঘাতহীন ক্ষমতা হস্তান্তরে ঐকমত্য কমিশনে রূপরেখা পেশ এনসিপির Jul 02, 2025
img
মধ্যপ্রাচ্যে সিলেট-ব্রাহ্মণবাড়িয়া ঘোষণা দিয়ে মারামারি করে : আসিফ নজরুল Jul 02, 2025
img
গত অর্থবছরে রপ্তানি আয়ে প্রবৃদ্ধি ৮.৫৮ শতাংশ Jul 02, 2025
img
আইএইএর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার আইন অনুমোদন করল ইরান Jul 02, 2025
img
'যেকোনো আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত ইরান' Jul 02, 2025
img
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও আসন সীমানা নির্ধারণে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য : অধ্যাপক আলী রীয়াজ Jul 02, 2025
img
পাকিস্তানে বিস্ফোরণে সহকারী কমিশনারসহ নিহত অন্তত ৫, আহত ১১ Jul 02, 2025
img
‘জুলাই শহীদ’ স্বীকৃতি পাচ্ছেন এক রোহিঙ্গা যুবক Jul 02, 2025