ভারতের এক উচ্চমাধ্যমিক গাইড বইয়ে স্থান পেয়েছেন ‘দ্য বং গাই’ খ্যাত ইউটিউবার কিরণ দত্ত। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয়েছে বিতর্ক; পাঠ্যবইয়ে বিনোদনমূলক কনটেন্ট নির্মাতার নাম কেন, তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।
সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের একটি জনপ্রিয় প্রকাশনা ইউটিউব ও নেটমাধ্যমের প্রভাব নিয়ে একটি অধ্যায় প্রকাশ করেছে। সেখানে অনলাইন ইনফ্লুয়েন্সারদের ভূমিকা, তাদের জনপ্রিয়তা ও এর ইতিবাচক-নেতিবাচক দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। সেই অধ্যায়ের একাংশে উল্লেখ আছে, কিরণ দত্ত বাংলার প্রথম ইউটিউবার হিসেবে পরিচিত।
বইয়ে নিজের নাম দেখে কিরণ নিজেই ফেসবুকে পোস্ট করেন বইয়ের সেই অংশের ছবি। তিনি লেখেন, ‘উচ্চমাধ্যমিকের সহায়িকা ঘাটতে ঘাটতে হঠাৎই দেখলাম আমার নাম বইয়ে! এখন থেকে সবাই সম্মানের সঙ্গে কথা বলবে।’
মজার ছলে তিনি আরও লেখেন, “যেভাবে ইতিহাসে আমরা পড়ি বাংলার প্রথম রাজা, প্রথম ডাক্তার— তেমনি কি ২০ বছর পর ‘বাংলার প্রথম ইউটিউবার’ নামেও কেউ পরিচিত থাকবে?”
তবে বিষয়টি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে শুরু হয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। অনেকে কিরণের সাফল্যকে প্রাপ্য স্বীকৃতি বলে দেখছেন, অন্যদিকে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন শিক্ষার মান নিয়ে। কেউ লিখেছেন, ‘যাদের ভিডিও বাচ্চাদের দেখা উচিত নয়, তাদের নাম বইয়ে কেন?’, আবার কেউ মন্তব্য করেছেন, ‘লেখাপড়ার মান প্রতিদিন কমছে, এটা তারই প্রমাণ।’
প্রসঙ্গত, কিরণ দত্ত ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করার পর চাকরির বদলে ইউটিউবকেই বেছে নেন। তার তৈরি কনটেন্টের বিষয়বস্তু মূলত ব্যঙ্গ ও সামাজিক মন্তব্য ঘিরে। বর্তমানে টালিউডের অনেক তারকাই নিজেদের চলচ্চিত্র প্রচারে তার চ্যানেল ব্যবহার করেন। ইউটিউব থেকেই লাখ লাখ টাকা আয় করেন ‘দ্য বং গাই’।
আরপি/ এসএন