বাংলাদেশে ক্রীড়াঙ্গনে প্রতিভা ঝরে পড়ে। আবার অনেক সময় কোচরা অনেক খেলায় প্রতিভা ঠিক মতো বাছাইও করতে পারেন না। ফুটবলে কোনো প্রতিভা যেন অবিচারের শিকার না হয় এজন্য ফিফা ট্যালেন্ট আইডিন্টিফিকেশন প্রোগ্রাম শুরু করেছে। সেই প্রোগ্রামের আওতায় বাফুফে চার দিনের একটি কর্মশালা আয়োজন করবে।
ফিফার দক্ষিণ এশিয়ায় উন্নয়ন বিষয়ক ট্যাকনিক্যাল কনসালটেন্ট ভুটানিজ কোচ চকি নিমা। তিনি আজ দুপুরে বাফুফের ট্যাকনিক্যাল ডাইরেক্টর সাইফুল বারী টিটুকে নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করেন। সেই সম্মেলনে চকি বলেন, 'ফিফা ট্যালেন্ট ডেভলপমেন্ট স্কিমের অংশ ট্যালেন্ট আইডেন্টিফিকেশন। আগামী চার দিন কোচদের খেলোয়াড়দের বাছাই করার নানা প্রক্রিয়া ও পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করব। যাতে পরবর্তীতে কোচরা খেলোয়াড় বাছাইয়ের ক্ষেত্রে এই জ্ঞান কাজে লাগাতে পারে।'
বয়সভিত্তিক নারী-পুরুষ প্রতিযোগিতা শেষে বাফুফের কোচরা খেলোয়াড় বাছাই করে থাকে। সেই কোচদের মূলত এই কর্মশালায় রাখা হয়েছে। 'বিকেএসপি এবং আমাদের যে সকল কোচ মূলত ট্যালেন্ট হান্ট কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত তাদেরকে রাখা হয়েছে। এ,বি লাইসেন্স মিলিয়ে ৩২ জন কোচ এতে অংশগ্রহণ করবেন। তৃণমূল পর্যায়ে ফিজিক্যাল, মানসিক, স্কিলের পাশাপাশি কোন বিষয়গুলো দেখে খেলোয়াড় নির্বাচন করতে হবে', বলেন টিটু।
২১-২৪ অক্টোবর চার দিন কর্মশালা যশোরের শামসুল হুদা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত হবে। কোচদের কর্মশালা কিংবা সেমিনার বিগত সময়ে বাফুফে ভবনেই অনুষ্ঠিত হয়েছে। এবার যশোরে হওয়ার কারণ সম্পর্কে ট্যাকনিক্যাল ডাইরেক্টর টিটু বলেন, 'শামসুল হুদা একাডেমিতে বয়স ভিত্তিক ফুটবলার, আবাসন,মাঠ ও সকল সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। এজন্য সেখানে নির্ধারণ করা হয়েছে।'
আর্সেনালের সাবেক কোচ আর্সেন ওয়েঙ্গার এখন ফিফার ফুটবল বিশ্বায়নের প্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন। তার নির্দেশনাতেই মূলত বিশ্বব্যাপী তৃণমূল ফুটবলে বিশেষ করে ১২-১৬ বছর বয়স পর্যন্ত নানা কর্মকান্ড জোরদার হচ্ছে। বাংলাদেশ গত দেড় বছর আগে ফিফার ট্যাকনিক্যাল ডেভলপমেন্ট স্কিমের আওতায় একাডেমি কাপ করেছিল। এবার ট্যালেন্ট আইডেন্টিফিকেশন কর্মশালা করছে যার প্রতিবাদ্য বিষয়, 'এভরি ট্যালেন্ট গেট চান্স।'
এসএস/এসএন