যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে আগামী কিছুদিনের মধ্যে কোনো বৈঠকের পরিকল্পনা নেই বলে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
গত বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) ট্রাম্প বলেছিলেন, ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে আলাপ করতে হাঙ্গেরির বুদাপেস্টে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে তিনি ও পুতিন বৈঠক করবেন।
হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা জানান, বর্তমানে এমন কোনো বৈঠকের প্রস্তুতি বা সময়সূচি নেই।
চলতি সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ও রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের মধ্যে একটি প্রস্তুতিমূলক বৈঠক হওয়ার কথা ছিল।কিন্তু হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, দুই নেতার মধ্যে ‘ফলপ্রসূ’ টেলিফোন আলাপ হয়েছে। ফলে এখন আর সরাসরি বৈঠক ‘প্রয়োজন নেই।
তবে কেন আসন্ন বৈঠকটি স্থগিত করা হয়েছে তা নিয়ে আর বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। চলতি সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব ও রাশিয়ার শান্তি শর্তের মধ্যে মতপার্থক্য স্পষ্ট হয়ে ওঠায় দুই দেশের প্রেসিডেন্টদের শীর্ষ বৈঠকের সম্ভাবনা এখন কমে গেছে।
হোয়াইট হাউসে ইউক্রেনের ভলোদিমির জেলেনস্কির সাথে দেখা করার একদিন আগে ট্রাম্প পুতিনের সাথে ফোনে বুদাপেস্ট শীর্ষ সম্মেলন নিয়ে আলোচনা করেছিলেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদন মতে, জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকটি একাধিকবার ‘চিৎকার-চেঁচামেচিতে’ পরিণত হয়েছিল, যেখানে ট্রাম্প সতর্ক করেন যে, আপস করতে অস্বীকৃতি জানালে ইউক্রেনকে ‘ধ্বংস’ করে দেবে রাশিয়া।
প্রতিবেদন অনুসারে, আলোচনার সাথে সম্পৃক্ত কর্মকর্তারা বলেছেন যে ট্রাম্প বারবার পুতিনের বক্তব্যের কথা তুলে ধরেছেন এবং জেলেনস্কিকে দোনবাস অঞ্চল মস্কোর কাছে ‘সমর্পণ’ করার জন্য চাপ দিয়েছেন।
জেলেনস্কি বরাবরই বলেছেন, ইউক্রেন দোনবাসের যে অংশগুলো এখনও নিয়ন্ত্রণ করছে তা ছাড়তে পারে না, কারণ রাশিয়া পরে সেই অঞ্চলকে আরও আক্রমণের জন্য ব্যবহার করতে পারে।
সোমবার ট্রাম্প বলেন, আমরা মনে করি তাদের উচিত যেখানে তারা আছে, সেই যুদ্ধরেখায় থেমে যাওয়া। যদি আপনি বলেন, আপনি এটা নিন, আমরা ওটা নিই, তাহলে বাকিটা নিয়ে আলোচনা করা খুব কঠিন।
কিন্তু রাশিয়া এই ধারণা প্রত্যাখ্যান করেছে। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ল্যাভরভ মঙ্গলবার বলেন, মস্কো শুধু দীর্ঘমেয়াদি ও টেকসই শান্তিতে আগ্রহী।
বর্তমান ফ্রন্টলাইন বজায় রাখার অর্থ হবে কেবল অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি।
এমআর