এক ব্যক্তি মঙ্গলবার রাতে গাড়ি চালিয়ে হোয়াইট হাউসের বাইরের একটি নিরাপত্তা গেটে আঘাত করেছেন বলে জানিয়েছে সিক্রেট সার্ভিস। সংস্থাটি নিশ্চিত করেছে, হোয়াইট হাউস চত্বরে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প উপস্থিত থাকলেও তার কোনো বিপদ হয়নি এবং হামলাকারী ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সিক্রেট সার্ভিস জানায়, স্থানীয় সময় রাত প্রায় ১০ টা ৩০ মিনিটে লোকটি ১৭তম এবং ই স্ট্রিট-এর কোণে একটি ব্যারিয়ারে তার গাড়িটি নিয়ে আঘাত করে। সরকারি নথি অনুযায়ী, গাড়িটি ছিল মেরিল্যান্ড লাইসেন্স প্লেটসহ একটি ২০১০ আকুরা টিএসএক্স।
সিক্রেট সার্ভিস তাৎক্ষণিকভাবে চালকের সম্পর্কে কোনো বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেনি। হামলাটি ইচ্ছাকৃত ছিল কিনা বা কেন চালক হোয়াইট হাউসের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন, তা জানা যায়নি।
সিক্রেট সার্ভিস জানিয়েছে, ঘটনার সময় ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে ছিলেন। হোয়াইট হাউস লকডাউন করা না হলেও, পুলিশ গাড়িটি সরিয়ে না নেওয়া পর্যন্ত গেটের দিকে যাওয়া রাস্তাটি বন্ধ থাকবে বলে সিক্রেট সার্ভিস জানিয়েছে।
হোয়াইট হাউস এই সপ্তাহে বিশেষভাবে সবার মনোযোগের কেন্দ্রে রয়েছে। কারণ এখানে ইস্ট উইং ভেঙে একটি নতুন বলরুম তৈরির কাজ চলছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে হোয়াইট হাউসের গেটে আরো বেশ কয়েকটি গাড়ি দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ২০২৪ সালের মে মাসে একটি এবং একই বছরের জানুয়ারি মাসে আরেকটি ঘটনা ঘটে।
২০২৩ সালের মে মাসে, এক চালক একটি ভাড়া করা ইউ-হউল ট্রাক নিয়ে গেটে আঘাত করেন এবং পরে কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি করেন, তিনি সাবেক প্রেসিডেন্ট জোসেফ আর. বাইডেন জুনিয়রকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন।
১৯৯০ এর দশক থেকে যানবাহন এবং পথচারীদের জন্য হোয়াইট হাউসের আশেপাশের রাস্তায় প্রবেশাধিকার সীমিত করার প্রচেষ্টা সত্ত্বেও এসব ঘটনা ঘটছে। ওকলাহোমা সিটিতে একটি ফেডারেল ভবনে বোমা হামলার পর, ১৯৯৫ সাল থেকে ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট, হোয়াইট হাউস এবং আইজেনহাওয়ার এক্সিকিউটিভ অফিস বিল্ডিং-এর সামনের পেনসিলভানিয়া অ্যাভিনিউতে গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এর আগেও সুরক্ষা লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে। ১৯৯৪ সালে প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন ভবনের আবাসিক অংশে থাকাকালীন একজন বন্দুকধারী গুলি চালিয়ে হোয়াইট হাউসের একটি জানালায় আঘাত করতে সক্ষম হন।
২০১৫ সালে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এবং তার পরিবার থ্যাঙ্কসগিভিং উদযাপন করার সময় এক ব্যক্তি বেড়া টপকে ভেতরে প্রবেশ করেন।
এ ছাড়া গত বছর ট্রাম্পের ওপর দুটি হত্যাচেষ্টাসহ দুই প্রধান দলের প্রধান ব্যক্তিদের ওপর সাম্প্রতিক উচ্চ-স্তরের হামলার পর রাজনীতিবিদদের নিরাপত্তা আবারও আলোচনার কেন্দ্রে এসেছে। এই বছরের শুরুতে মিনেসোটার ডেমোক্র্যাটিক রাজ্য আইনপ্রণেতা মেলিসা হর্টম্যান নিহত হন। কর্মকর্তারা এই ঘটনাকে রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড বলে বর্ণনা করেছেন। গত মাসে ট্রাম্পের মিত্র চার্লি কার্ক ইউটাহের একটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন।
সূত্র : নিউ ইয়র্ক টাইমস
কেএন/টিকে