চিত্রনায়িকা শাবনূরের সঙ্গে প্রয়াত অভিনেতা সালমান শাহর প্রেমের সম্পর্ক ছিল, শোবিজ অঙ্গনে দীর্ঘ সময় ধরে এমন গুঞ্জন চলছে। এবার সে সম্পর্কের সত্যতা নিয়ে প্রথমবার মুখ খুলেছেন সালমান শাহর ম্যানেজার মো. মুনসুর আলী। তার মতে, শাবনূর নয়, মৌসুমীকে নিয়ে সালমানকে সন্দেহ করতো নায়কের প্রাক্তন স্ত্রী সামিরা হক।
দেশের একটি গণমাধ্যমকে বিশেষ সাক্ষাৎকারে উপস্থিত হয়ে ঢালিউডের স্বপ্নের নায়ক খ্যাত সালমান শাহ প্রসঙ্গে একাধিক অজানা তথ্য প্রথমবার প্রকাশ করেন মো. মুনসুর আলী। দীর্ঘ আলাপচারিতার এক পর্যায় তার কাছে জানতে চাওয়া হয়, সালমান ও শাবনূরের প্রেমের সম্পর্কের সত্যতা কতটুকু?
উত্তরে মো. মুনসুর আলী বলেন,
আমি সালমান শাহর সঙ্গে সাড়ে ৪ বছর ছিলাম। তার ও শাবনূরের প্রেমের সম্পর্কের সত্যতা কতটুকু তা আমি জানি না। তবে আমি যেটা জানি সেটা হলো সামিরা ভাবী মৌসুমী মেমকে নিয়ে মাইন্ড করতেন। এ কারণে ‘দেনমোহর’ সিনেমার পর আর কোনো সিনেমায় মৌসুমীর সঙ্গে সিনেমা করতে চাননি সালমান ভাই।
মো. মুনসুর আলী আরও বলেন,
‘দেনমোহর’ সিনেমার পর আরও একটি কাজের অফার এসেছিল সালমান ভাইয়ের কাছে। কিন্তু সিনেমায় মৌসুমী থাকায় ভাই সেটা না করে দেন। তাকে যখন আমি বলি ভাই সিনেমার গল্প তো ভালো ছিল, তখন সালমান শাহ আমায় বলেন, তোমার ভাবী আমায় এমনিতেই সন্দেহ করে। আমি আর মৌসুমীর সঙ্গে কাজ করবো না। আমার সংসারে আমি সুখ চাই, শান্তি চাই।
সালমান শাহর সহকারীর দাবি, সামিরা হকের সন্দেহের জন্যই ঢালিউডে ভেঙে যায় সালমান শাহ-মৌসুমী জুটি। যে কারণে ‘তুমি আমার’ সিনেমায় সালমান শাহ জুটি গড়েন চিত্রনায়িকা শাবনূরের সঙ্গে।
শাবনূর প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মো. মুনসুর আলী বলেন,
প্রথম দেখাতেই সালমান শাহ শাবনূরকে বলেন, আমার তো কোনো বোন নেই, তুমি আমার ছোট বোনের মতো। সব সময় আমি ভাইকে নারীদের সম্মান করতে দেখেছি। শুধু শাবনূর কেন, কোনো নায়িকাকেই কুনজরে দেখতেন না সালমান শাহ। শুটিং শেষ হলে কখনো কারো সাথে বসে আড্ডা দিতেন না। দ্রুত বাড়ি ফিরে যেতে ব্যস্ত হয়ে পড়তেন।
প্রসঙ্গত, নব্বইয়ের দশকের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সালমান শাহর রহস্যজনক মৃত্যু হয় ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর। এ মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে দাবি করেন অভিনেতার সাবেক স্ত্রী সামিরা হক।
তবে এতে দ্বিমত পোষণ করেন সালমান শাহর পরিবার। তাদের দাবি, সালমান শাহকে সুপরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
এমকে/টিকে