দেশে দুর্বল সরকার প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যেই একটি রাজনৈতিক দল ভোটে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতি (পিআর) দাবি করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, ‘পিআর পদ্ধতির মাধ্যমে এমন ব্যক্তিরাও সংসদে ঢুকে পড়তে পারেন, যারা জনগণের প্রতিনিধি হওয়ার যোগ্য নন।’
শনিবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে বাংলাদেশ লেবার পার্টির ৪৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনাসভায় তিনি এসব কথা বলেন। হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘দুর্বল সরকার হলে দেশের কী লাভ? লাভ কাদের? দেশপ্রেমিক জনগণ তা ভালোভাবে বোঝেন।
সুতরাং আসন্ন নির্বাচনে অবশ্যই একটি শক্তিশালী সরকার গঠন করতে হবে।’
বিএনপি অতীতেও মিত্রদলকে সঙ্গে নিয়ে জোটবদ্ধভাবেই নির্বাচনে অংশ নিয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামীসহ অনেক দলই ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে ২০১৮ সালের নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। এবারও জোটভুক্ত সব রাজনৈতিক দলকে ধানের শীষ প্রতীক বরাদ্দ দিতে নির্বাচন কমিশনকে আমরা লিখিতভাবে জানাব। ধানের শীষ জনগণের কাছে একটি গ্রহণযোগ্য ও শক্তিশালী প্রতীক। গ্রামে-গঞ্জের বহু ভোটার আছেন যারা শুধু ধানের শীষে ভোট দিতে কেন্দ্র যান। সেই প্রতীকে যারা আন্দোলনে ছিলেন, তারা যদি বঞ্চিত হন, তা খুবই দুঃখজনক হবে।’
বিএনপির সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরামের এই সদস্য বলেন, ‘প্রতিবেশী রাষ্ট্র যদি সামরিক শক্তি দেখাতে চায়, আমরা সামরিকভাবেই তাদের মোকাবেলা করব। আমরা বাংলাদেশের জনগণকে একটা সেনাবাহিনীতে পরিণত করব। আমরা তাদের সামরিক ট্রেনিং দেব। সব ছাত্রকে অন্যান্য দেশে যেমন ন্যাশনাল সার্ভিস থাকে, এক বছর কিংবা দুই বছর সামরিক বাহিনীতে ভলান্টারি সার্ভিস দেয় ছাত্ররা। বিএনপি যদি ক্ষমতায় যায়, আমরা ইনশাল্লাহ সেই ব্যবস্থা করব।’
বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরানের সভাপতিত্বে সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মজিবুর রহমান সরোয়ার, নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম, লেবার পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান জোহরা খাতুন জুঁই প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পিআর পদ্ধতি চালু করাসহ পাঁচ দফা দাবিতে জামায়াতে ইসলামীসহ কয়েকটি দল যুগপৎ আন্দোলন করছে।
ইএ/টিকে