সিলেটের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির ভোট গ্রহণের ৬ দিন আগে নির্বাচন স্থগিত করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
রোববার (২৬ অক্টোবর) সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও চেম্বারের প্রশাসককে পাঠানো বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব চৌধুরী সামিয়া ইয়াসমীন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এদিকে সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদের বিজয় দেখে একটা পক্ষ নির্বাচন স্থগিত করিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন পরিষদের প্রার্থীরা। অবিলম্বে নির্বাচন স্থগিতের আদেশ প্রত্যাহার না হলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
সিলেট চেম্বারের প্রশাসক সাঈদা পারভীন বলেন, নির্বাচন স্থগিতের নির্দেশনা পেয়েছি। চিঠিতে ভোটার তালিকা যাচাই-বাছাই করার কথা বলা হয়েছে। মূলত তালিকায় কিছু সমস্যা নিয়ে কয়েকজন সদস্য অভিযোগ জানিয়েছিলেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, তালিকা যাচাই-বাছাই শেষে ফের তপশিল ঘোষণা করা হবে।
ব্যবসায়ী সূত্রে জানা গেছে, সিলেট চেম্বারের সাবেক পরিচালক আমিরুজ্জামান দুলুর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন স্থগিতের এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এদিকে, নির্বাচন স্থগিত হওয়ায় রোববার বিকেলে নগরীর দরগা গেটের একটি হোটেলে জরুরি সংবাদ সম্মেলন করেছেন সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদের ব্যবসায়ীরা। এতে লিখিত বক্তব্য দেন পরিষদের প্রধান সমন্বয়ক ফাহিম আহমদ চৌধুরী। তিনি বলেন, একটা পক্ষ সিলেট চেম্বারের নির্বাচন চায় না। তারা সব সময়ই বিশৃঙ্খলা করে যাচ্ছে। এরাই জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন দিয়ে নির্বাচন স্থগিত করেছে।
ফাহিম আহমদ চৌধুরী বলেন, আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বী প্যানেলের প্রার্থীরা বলছেন, নির্বাচন স্থগিতের বিষয়ে তারা জানেন না। অথচ তারাই আবেদন দিয়ে নির্বাচন স্থগিত করেছেন। নির্বাচনে আমাদের নিরঙ্কুশ বিজয় হবে বুঝতে পেরে এ ষড়যন্ত্র করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সিলেট সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদের সভাপতি প্রার্থী ফালাহ উদ্দিন আলী আহমদ, সিনিয়র সহসভাপতি প্রার্থী হুমায়ূন আহমেদ, সহসভাপতি মাসুম ইফতিখার রসুল সিহাব।
এ ছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক সভাপতি ফয়েজ হাসান ফেরদৌস, সাবেক সহসভাপতি আব্দুস সামাদ, আতিক হোসেন, দেলোয়ার হোসেন, সাবেক পরিচালক হাফিজুর রহমান, ভোলাগঞ্জ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি বশির আহমদ, আব্দুল কাইয়ুম, আক্তার চৌধুরী রুবেল, লিবন আহমদ, হাসান কবির ও পরিচালক প্রার্থীরা।
আগামী ১ নভেম্বর সিলেট চেম্বারের ভোটগ্রহণ হওয়ার কথা ছিল। সিলেট সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদ ও সিলেট ব্যবসায়ী ফোরাম থেকে মোট ৪২ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলেন।
আরপি/টিকে