দেশের পাশাপাশি ওপার বাংলার চলচ্চিত্র জগতেও বেশ পরিচিতি মুখ তাসনিয়া ফারিণ। বছর দুয়েক আগে অতনু ঘোষের ‘আরো এক পৃথিবী’তে অভিনয় করে দর্শকের মন জয় করেন; পর্দা ভাগ করে নিয়েছিলেন ক্যামেরার পেছনের শিল্পী কৌশিক গাঙ্গুলির সঙ্গে।
তাসনিয়ার সেই রেশ এখনও ভোলেনি কলকাতা। এরপর দেবের সঙ্গে সিনেমার জন্য ডাকও পান অভিনেত্রী। কিন্তু ভিসা জটিলতায় হাতছাড়া হয়ে যায় সুযোগ। অবশেষে কাঁটাতারের ওপারে যাওয়ার সুযোগ মেলে ফারিণের, সেখানে দেবের মুখোমুখিও হন অভিনেত্রী; কিন্তু বাস্তবতা তো মেনে নিতেই হয়!
বর্তমানে কলকাতা সফরে রয়েছেন ফারিণ, ঘুরঘুর করছেন টালিগঞ্জের অন্দরে। অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরীও সেখানে ব্রাত্য বসুর পরিচালনায় ‘শিকড়’ ছবির শুটিংয়ে ব্যস্ত। সেখানে দেখাও হয় তাদের; অভিনেত্রী কোয়েল মল্লিকের বিশেষ সাড়া পেয়ে তার সিনেমা ‘স্বার্থপর’ দেখলেন বাংলাদেশের দুই তারকা।
এরই মধ্যে রোববার (২৬ অক্টোবর) ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজারের মুখোমুখি হয়েছিলেন তাসনিয়া ফারিণ। এক দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে টালিগঞ্জ সফর, বড় পর্দায় অভিষেক, দেশের বিনোদন অঙ্গনের অবস্থা নিয়ে বিস্তর কথা বলেন অভিনেত্রী। তবে এই সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের রাজনৈতিক বিষয়াদি নিয়ে একাধিক প্রশ্ন ছোড়া হয় তাকে। তাসনিয়ার স্পষ্ট জবাব, তিনি রাজনীতিমনস্ক নন, শিল্পী হিসেবে এসব বিষয়ে কথা না বলাই শ্রেয় মনে করেন।
কলকাতাকে ভালোবাসেন তাসনিয়া ফারিণ। বাঙালির পূজা পার্বণের সময়টাতে কলকাতা সফর তাকে আরও আনন্দিতও করেছে। স্থানীয় পছন্দের খাবারগুলোও ট্রাই করছেন।
এরই মধ্যে গুঞ্জন ওঠে, অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরীর আগামী ছবিতে একসঙ্গে দেখা যেতে পারে ফারিণ-চঞ্চলকে। তবে এ প্রসঙ্গে স্পষ্ট নন ফারিণ। সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেন, ‘আগামী ছবি কি না জানি না। তবে অনেক আগে থেকেই টোনিদার (অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরী) সঙ্গে কথা চলছে। তার সঙ্গে কাজের জন্য মুখিয়ে। আর চঞ্চলদা সেই কাজে থাকবেন কি না এটাও কিন্তু জানি না।’
কিন্তু দেবের নায়িকা হওয়ার সুযোগ তো হারিয়েছিলেন ফারিণ! এই কথা শুনে ফারিণ বলেন, ‘আর বলবেন না! ওনারা অনেক দিন পর্যন্ত আমার জন্য অপেক্ষা করেছিলেন। আমিও আসার খুবই চেষ্টা করেছি। বেশ টানাপড়েন গেছে তখন। শেষ পর্যন্ত ব্যাটে-বলে হল না। এই তো, দিন দুই আগে ‘স্বার্থপর’ ছবির প্রিমিয়ারে দেখাও হল দেবদার সঙ্গে। বললেন, “যাক! অবশেষে এলে। দেখা হল আমাদের।” এর আগে দেবদার সঙ্গে সব কথা ফোনে হয়েছিল। মুখোমুখি এই প্রথম।’
দুই বাংলার চলচ্চিত্র অঙ্গনের পার্থক্য নিয়েও কথা বলেন ফারিণ। তার কথায়, ‘কাজের ধরনে পার্থক্য রয়েছে, এখানকার কাজ অনেক বেশি সুসংগঠিত, পেশাদার। তবে আমাদের এখানকার তুলনায় খুব বেশি আলাদা না। এখন আমাদের বাজেটে পরিবর্তন এসেছে, বড় বাজেটের কাজ হচ্ছে। প্রযোজনাতেও পেশাদারিত্ব এসেছে। আবার একই ভাষা, দুই দেশের পরিবেশ এক, আমরা দেখতেও এক— পার্থক্য কই?’
আরপি/টিকে