তারকাদের জন্য রেস্তোরাঁ ব্যবসা এখন আর নতুন কোন বিষয় নয়। অভিনয়ের পাশাপাশি অনেকেই এই কাজে নাম লিখিয়েছেন। যেই তালিকায় নাম রয়েছে অভিনেত্রী মৌনী রায়েরও।
এবার সেই মৌনী রায়ের রেস্তোরাঁর খাবারের দাম নিয়েই শুরু হলো নানা চর্চা। মৌনীর রেস্তোরাঁয় একটি রুটির জন্য ১০০ টাকা এবং একটি গোলাপজামের জন্য ৪১০ টাকা দিতে হয়!
কেবল অভিনয় জগতেই নয়, খাবারের ব্যবসায়েও ভীষণ অ্যাক্টিভ মৌনী। ২০২৩ সালে তিনি মুম্বাইয়ের বদমাশ নামে একটি রেস্তোরাঁ শুরু করেন তিনি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের রিপোর্ট অনুসারে, বদমাশ-এর খাবারের দাম প্রকাশ্যে এসেছে। একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে রেস্তোরাঁর বেশিরভাগ খাবারের দাম ৩০০ থেকে ৮০০ টাকার মধ্যে। শাহি টুকরা এবং গোলাপজামের প্রতিটির দাম ৪১০ টাকা করে।
মশলা বাদাম, মশলা পাঁপড়, মুচমুচে ভুট্টার দাম ২৯৫ টাকা। পিঁয়াজ ভাজিয়ার দাম ৩৫৫ টাকা। চিংড়ির একটি পদের দাম ৭৯৫ টাকা। তন্দুরি রুটির দাম ১০৫ টাকা, নান ১১৫ টাকা এবং অমৃতসারি কুলচার দাম ১৪৫ টাকা।
কিন্তু কেন এই ধরনের খাবার? এর উত্তরে অভিনেত্রী বলেছেন, “আমি ভারতীয় খাবার পছন্দ করি। বিদেশে কাজের জন্য গেলেই আমি ভারতীয় খাবারের খোঁজ করি। আমার মনে হয়েছিল, বেঙ্গালুরু ও মুম্বাইতে ভারতীয় খাবারের ভাল কোন রেস্তোরাঁ নেই। তাই এমন একটা রেস্তোরাঁর কথা ভেবেছিলাম।”
২০০৬ সালে অভিনয়ে অভিষেকের পর থেকেই মৌনী রায় ভারতীয় টেলিভিশনের অন্যতম জনপ্রিয় মুখ হয়ে ওঠেন। ‘মহাদেব’ ও ‘নাগিন’ সিরিজে অভিনয় করে তিনি বিপুল প্রশংসা পান। পাশাপাশি একাধিক বড় ব্র্যান্ডের মুখও হয়ে ওঠেন বঙ্গললনা।
২০২৩ সালে অভিনয়ের পাশাপাশিমপা রাখেন রেস্তরাঁর ব্যবসায়। বেঙ্গালুরুর সারজাপুর এলাকায় নিজের রেস্তোরা ‘বদমাশ’ খুলে তিনি শুরু করেন এই যাত্রা, পরে মুম্বাইয়ের আন্ধেরিতেও তার আরেকটি শাখা চালু হয়। বর্তমানে ভারতের বিভিন্ন শহরে মৌনীর ছ’টিরও বেশি রেস্তোরাঁ রয়েছে।
কেএন/এসএন