প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার এশিয়া সফরের ব্যস্ততম দিনগুলো পার করছেন। গতকাল জাপানে পৌঁছান ট্রাম্প। সেখানে জাপানের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রীকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান। সানা তাকাইচি মাত্র কয়েকদিন আগে জাপানের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন।
মঙ্গলবার ট্রাম্প এবং তাকাইচির দেখা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তারা করমর্দন করেন এবং ট্রাম্প প্রধানমন্ত্রী সানা তাকাইচির প্রশংসা করে বলেন, ‘এটি খুব শক্তিশালী করমর্দন ছিল।’
এরপর তাকাইচি ইভেন্টের আগে ইউএস ওয়ার্ল্ড সিরিজের তৃতীয় খেলা দেখার কথা বলেছিলেন। তিনি আরো বলেন, জাপান আগামী বছর আমেরিকার ২৫০ তম বার্ষিকীকে সম্মান জানাতে ওয়াশিংটনকে ২৫০টি চেরি গাছ দেবে। পাশাপাশি ৪ জুলাই উদযাপনের জন্য আকিতা প্রিফেকচার থেকে আতশবাজিও দেবে।
তাকাইচি ট্রাম্পের সঙ্গে তার প্রাথমিক বক্তব্যে জাপানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের কথা উল্লেখ করেন। আবে তার প্রধান রক্ষণশীল পরামর্শদাতা ছিলেন। তাকাইচি ট্রাম্পকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে প্রায়ই আমাকে আপনার গতিশীল কূটনীতি সম্পর্কে বলতেন।’
এদিকে ট্রাম্প জাপানের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার ভূমিকাকে একটি বড় বিষয় বলে অভিহিত করেছেন।
এ ছাড়া জাপানের প্রতি মার্কিন অঙ্গীকারের ওপরও জোর দিয়েছেন ট্রাম্প। অতীতে রাষ্ট্রপতি তার বিদেশি প্রতিপক্ষদের প্রকাশ্যে তিরস্কার করলেও, তিনি তাকাইচির প্রশংসা ছাড়া আর কিছুই করেননি।
ট্রাম্প বলেন, ‘জাপানকে সাহায্য করার জন্য আমি যা কিছু করতে পারি, আমরা করব। আমরা একে অন্যের সবচেয়ে শক্তিশালী মিত্র।’ উভয় নেতা তাদের দেশের জোটের ‘স্বর্ণযুগ’ বাস্তবায়নের জন্য একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন।
চুক্তির বিষয়বস্তু অস্পষ্ট ছিল, কিন্তু স্বাক্ষরের সময় দেখা যায়, পুরো নথিটি এক পৃষ্ঠারও কম। এরপর ট্রাম্প এবং তাকাইচি দ্বিতীয় চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এটি গুরুত্বপূর্ণ খনিজ এবং বিরল মৃত্তিকা সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য মার্কিন-জাপানের একটি কাঠামো। ট্রাম্প একটি বাণিজ্য চুক্তির অংশ হিসেবে জাপানের ৫৫০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের জন্য চেষ্টা করছেন, যা মার্কিন শুল্ক কমাবে।
যদিও ট্রাম্প এশিয়ার প্রতি তার পররাষ্ট্র নীতি শুল্ক এবং বাণিজ্যকে কেন্দ্র করে মনোনিবেশ করেছেন, তবে তিনি টোকিওর কাছে একটি আমেরিকান নৌ ঘাঁটিতে নোঙ্গর করা একটি বিমানবাহী জাহাজ ইউএসএস জর্জ ওয়াশিংটনে বক্তব্য রেখেছেন। সোমবার টোকিওতে পৌঁছানোর পর ট্রাম্প সম্রাটের সঙ্গে এক আনুষ্ঠানিক সফরে সাক্ষাৎ করেন। এর আগে তিনি মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে ছিলেন, যেখানে তিনি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ান নেশনস অ্যাসোসিয়েশনের বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছিলেন।
বুধবার ট্রাম্পের দক্ষিণ কোরিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার কথা রয়েছে, যেখানে এশিয়া-প্যাসিফিক অর্থনৈতিক সহযোগিতা শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
কেএন/টিকে