দলগুলো ঐকমত্যে আসতে না পারলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়: হাসনাত

রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যমতে আসতে না পারলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। এসময় নিজিদেরকে সংস্কারের পক্ষের শক্তি উল্লেখ করে আগামীতে সরকার গঠন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ঝালকাঠি শহরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত দলের সমন্বয় সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, বড় বড় রাজনৈতিক দলগুলো ডিসি এসপিদেরকে যেভাবে গনিমতের মাল হিসেবে ভাগাভাগি করছে, তাতে আগামী নির্বাচন স্ক্রিপ্টের নির্বাচনের দিকে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

আওয়ামী লীগের প্রশ্নে যে কোনো আলোচনাই এখন অপ্রসংগিক উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাদের যে পরিমাণ জনসমর্থনের কথা এখন বলা হচ্ছে, সেই পরিমাণ জনসমর্থনই যদি তাদের থাকতো তাহলে তাদের দেশ থেকে পালাতে হতো না, তাদের ডামি নির্বাচন করতে হতো না। ২০২৪ সালে বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নেয়ায় গণতন্ত্র ভুলষ্ঠিত হয়েছে- যারা এই বয়ান উৎপাদন করেছে তারাই এখন টকশোতে নরমালাইজ হচ্ছে।

এনসিপির এই নেতা বলেন, মিডিয়া ফ্যাসিজম, বিজনেস ফ্যাসিজম, সুশীল সমাজের নামধারী ফ্যাসিজম, এই যায়গাগুলোতে তারা হাত দিতে পারেনি।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের হয়ে যারা সুবিধা নিয়েছে এখন তারা আবির্ভূত হয়েছে সাংবাদিক পরিচয়ে, টকশোজিবি পরিচয়ে, বুদ্ধিজীবী পরিচয়ে, লেখক পরিচয়ে, সংস্কৃতি কর্মী পরিচয়ে। কিন্তু আওয়ামী লীগ কর্মী হিসেবে যখন সুবিধা নিয়েছে, তখন কিন্তু তাদের মানবতার বোধোদয় হয়নি।

তিনি যোগ করেন, আগামী নির্বাচনে আমরা বাংলাদেশের নাগরিক, যারা বাংলাদেশে বাস করে, স্বাধীনতা সার্ববৌমত্বে বিশ্বাস করে, ২৪, ৪৭, ৫২, ৭১ কে ধারণ করে, তাদের কাছে আমরা ভোট চাইবো। আমরা এনসিপি, যে পজিশনটা নেই, দিন শেষে ওই অবস্থানে সবাইকে আসতে হয়। সুতরাং দিন শেষে ট্রফি যার মাঠ তার, তাই ট্রফি এনসিপিরই।

এনসিপির জেলা প্রধান সমন্বয়কারী মাইনুল ইসলাম মান্নার সভাপতিত্বে সভায় এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব মশিউর রহমান, কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আরিফুর রহমান তুহিন, কেন্দ্রীয় সদস্য মুখ্য সমন্বয়কারী আবু সাঈদ মুসাসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

ইএ/টিকে

Share this news on:

সর্বশেষ

img
গৃহীত আরপিও পুনঃসংশোধন একটি দলের কাছে নতিস্বীকারের শামিল : জামায়াত Nov 01, 2025
img
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন, তা বাস্তবায়ন হতে হবে: মির্জা ফখরুল Nov 01, 2025
img
খুলনায় চালু হলো নতুন আধুনিক কারাগার Nov 01, 2025
img
রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে বিএনপির কোনো নেতাকর্মী জড়িত নয় : রিজভী Nov 01, 2025
img
জেলেদের জীবন-জীবিকা নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি : মৎস্য উপদেষ্টা Nov 01, 2025
img
বিপিএলে খেলার আগ্রহ রোমারিও শেফার্ডের Nov 01, 2025
img
ক্লান্ত টাইগাররা চাঙ্গা হয়ে ফিরবে, দৃঢ় বিশ্বাস লিটনের Nov 01, 2025
img
৪২ বছর পর নিউজিল্যান্ডের কাছে হোয়াইটওয়াশ ইংল্যান্ড Nov 01, 2025
img
সালমানের মৃত্যুর দিন শাবনূরকে বাসায় আটকে রাখেন ডলি জহুর Nov 01, 2025
img
নিউ ইয়র্কে জরুরি অবস্থা জারি Nov 01, 2025
img
হ্যালোইনের সাজে নতুন চমক দিলেন অপু বিশ্বাস Nov 01, 2025
img
জ্বালানি খাতের লুটপাট এখনও বন্ধ হয়নি : মান্না Nov 01, 2025
img
অভিনেতা রবি কিষাণকে মেরে ফেলার হুমকি Nov 01, 2025
img
ব্যাটিং-ফিল্ডিং ব্যর্থতায় হতাশ বাংলাদেশ, বিরতিহীনতার অযুহাত দিলেন লিটন Nov 01, 2025
img
ষড়যন্ত্র পরিহার করে ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন দিতে হবে : আমীর খসরু Nov 01, 2025
img
জুলাই সনদের দরকার নেই, গণতন্ত্র বাস্তবায়নে একটি সংসদ প্রয়োজন: মেজর (অব.) হাফিজ Nov 01, 2025
img
‘টাকার জন্য মা আমাদের বাড়ি জুয়াড়িদের ভাড়া দিতেন’ : ফারাহ খান Nov 01, 2025
img
নির্বাচনের স্বার্থে অনিচ্ছা সত্ত্বেও অনেক কিছু মেনে নিয়েছে বিএনপি : হাফিজ Nov 01, 2025
img
ফের তানজানিয়ার ক্ষমতায় সামিয়া হাসান Nov 01, 2025
img
২ মাস পর পুঁজিবাজারে সাপ্তাহিক লেনদেনে বাড়লো গতি Nov 01, 2025