হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেস্টে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে হতে যাওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক শেষ মুহূর্তে বাতিল হয়ে গেছে। জানা গেছে, ইউক্রেন ইস্যুতে মস্কোর কঠোর ও অনড় অবস্থান সম্পর্কে বার্তা পাওয়ার পরেই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই বৈঠক বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেন।
ইউক্রেন সঙ্কট নিয়ে চলতি মাসে এই দুই নেতার আলোচনার কথা ছিল। বৈঠকটি প্রায় চূড়ান্ত হয়ে যাওয়ার পরও হঠাৎ বাতিল হয়। বৈঠক বাতিল করে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছিলেন যে তিনি পুতিনের সঙ্গে দেখা করে সময় নষ্ট করতে চান না।
ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে বৈঠক বাতিলের প্রকৃত কারণ তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্প-পুতিনের আলোচনা চূড়ান্ত হওয়ার পরপরই মস্কো ওয়াশিংটনের কাছে একটি চিঠি পাঠায়। সেই চিঠিতে ক্রেমলিন ইউক্রেন নিয়ে তাদের পূর্বের দাবিগুলো আবারও উত্থাপন করে।
এই দাবির মধ্যে ছিল ইউক্রেনকে আরও কিছু অঞ্চল রাশিয়ার হাতে তুলে দিতে হবে, ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য সংখ্যা কমাতে হবে এবং ইউক্রেনকে ন্যাটো জোটে যোগদান করা থেকে বিরত থাকতে হবে। মস্কোর পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানানো হয় যে, এসব শর্ত মেনে নিলেই কেবল যুদ্ধবিরতি চুক্তি সম্ভব।
ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের দাবি, এই চিঠি পাওয়ার পর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের মধ্যে ফোনে তীব্র আলোচনা হয়। এই ফোনালাপের পরই রুবিও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে জানান যে পুতিন আপাতত কোনো অর্থপূর্ণ সংলাপের জন্য মোটেই প্রস্তুত নন। এরপরই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বৈঠকটি বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেন।
রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত এখন চতুর্থ বছরে গড়িয়েছে। এর আগে বহুবার ট্রাম্প চেষ্টা করলেও পুতিন ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে আলোচনা করে যুদ্ধ থামাতে পারেননি। এর আগে গত ১৫ আগস্ট আলাস্কায় ট্রাম্প ও পুতিনের মধ্যে প্রায় তিন ঘণ্টা বৈঠক হলেও কোনো সমঝোতা হয়নি।
আইকে/টিএ