গত বছরের চেয়ে চলতি বছরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও মৃত্যু হার কম হলেও সম্প্রতি ডেঙ্গু প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পাওয়ায় এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)।
এ লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) ডিএসসিসির নগর ভবনে এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ডিএসসিসির প্রশাসক মো. মাহমুদুল হাসানের সভাপতিত্বে ডিএসসিসির স্বাস্থ্য বিভাগ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ এবং আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তারা এতে উপস্থিত ছিলেন।
সভায় এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে অ্যাডাল্টিসাইডিং এবং লার্ভিসাইডিংয়ে ব্যবহৃত ওষুধের কার্যকর প্রয়োগ নিশ্চিতকরণে স্থানীয় নাগরিকদের অন্তর্ভুক্তপূর্বক ওয়ার্ডভিত্তিক তদারকি টিম গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ওয়ার্ডভিত্তিক এই টিম স্থানীয়ভাবে ওষুধ প্রয়োগের সময়সূচি প্রণয়ন ও নিশ্চিতকরণে কাজ করবে। এছাড়া বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ ও নাগরিক সম্পৃক্ততার মাধ্যমে এই টিম এলাকাভিত্তিক এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংসে কাজ করবে।
সভায় ডেঙ্গু আক্রান্তের হার বিবেচনায় এলাকাভিত্তিক হটস্পট নির্ধারণ ও হটস্পটভিত্তিক চিরুনি অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত হয়।
সভাপতির বক্তব্যে প্রশাসক মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘এডিস মশা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব যেমন সিটি করপোরেশনের, তেমনি সম্মানিত নাগরিকদেরও কিছু দায়িত্ব রয়েছে।’
মাঠপর্যায়ে হঠাৎ ও দ্বৈবচয়নের ভিত্তিতে মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘মশক নিয়ন্ত্রণে সিটি করপোরেশন কর্মীদের যথাযথ দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নাগরিকদের সচেতনতা জোরদার করা প্রয়োজন।’
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ওষুধ প্রয়োগ ও পরিচ্ছন্নতার পাশাপাশি জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে ডিএসসিসি কাজ করেছে উল্লেখ করে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘সংবাদপত্রে গণবিজ্ঞপ্তি, টেলিভিশনে টিভিসি প্রচার, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারসহ মসজিদ-মন্দিরে ডেঙ্গু প্রতিরোধে বিশেষ বার্তা প্রচার করা হচ্ছে।’
এছাড়া এলাকাভিত্তিক বিশেষ পরিচ্ছন্নতা ও মশক নিধন অভিযান নতুন উদ্যমে শুরু হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
সভায় ডেঙ্গু সন্দেহ হলে ডিএসসিসির তিনটি হাসপাতালে (ঢাকা মহানগর জেনারেল হাসপাতাল, ঢাকা মহানগর শিশু হাসপাতাল ও নাজিরা বাজার মাতৃসদন) বিনামূল্যে ডেঙ্গু পরীক্ষার আহ্বান জানানো হয়। এছাড়া ডিএসসিসি এলাকার ডেঙ্গু সম্পর্কিত তথ্য ০১৭০৯-৯০০৮৮৮ নম্বরে জানানোর অনুরোধ করা হয়।
টিজে/টিএ