অভিনেতা পরান বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাম্প্রতিক একটি সংক্ষিপ্ত মন্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে। ব্যক্তিগত জীবনে ভুক্তভোগী মানসিকতার বদলে সমালোচনাকে নীরবে মোকাবেলা করার যে কাপটিই তিনি সরাসরি আঁটেন, সেই দর্শনের সারল্য ও শক্তি তার লেখা এই সংলাপে ফুটে উঠেছে। পরান লিখেছেন, ‘তোমাকে কেউ কটু কথা বললে, তুমি হয়তো তার দ্বিগুণ ফিরিয়ে দিতে পারবে, কিন্তু তুমি যদি ওই কটু কথা ইগনোর করে এনজয় করো, তখন ওর কষ্টটা তোমার থেকে বেশি হবে। কারণ সে তোমাকে আঘাত করতে ব্যর্থ হয়েছে।’
শিল্পীর এই বাক্যকথনে আছে সহনশীলতা ও গভীর আত্মবিশ্বাসের মিশ্রণ। নায়ক-নায়িকা নয়, বরং বয়সী শিল্পী বা জীবনভাগীর মতো অভিজ্ঞতার নীরব ভাষা সেখানে কাজ করে। অনেকে মনে করছেন, পরানের এই মন্তব্য তার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার প্রতিফলন; সুরুচিপূর্ণ ভাবে আত্মরক্ষা ও নীরব বিজয়ের কাহিনি বলা আছে এক কথায়।
ফ্যান ও সমালোচকরা এটা বলাও শুরু করেছেন যে, বর্তমান সময়ের নানান বিতর্ক ও তিক্ততায় এমন মনোভাব একজন শিল্পীর জন্য মানসিক স্থিতি রক্ষায় বিশেষভাবে কার্যকর। সামাজিক মাধ্যম দর্শকদের মধ্যে প্রশ্ন জাগায় কবে প্রতিবাদ করা উচিত, আর কবে মূর্ত হওয়ার চেয়ে নীরবে এগিয়ে যাওয়াই মুক্তি দেয়। পরানের উক্তি সেই প্রশ্নের একটি সহজ কিন্তু শক্তিশালী উত্তর হয়ে উঠেছে।
বিনোদন পাড়ায় এই ধরনের সংবেদনশীল স্টেটমেন্ট দ্রুত প্রশংসা ও আলোচনা দুটোই ধরে। তরুণ প্রযোজক থেকে নির্মাতা, ন্যায় প্রেমী দর্শক থেকে সহশিল্পী—অনেকেই বলেছেন, এমন বক্তব্য শিল্পীকে ব্যক্তিগতভাবে মনের দিক থেকে শক্তিশালী করে এবং কর্মজীবনে নেগাটিভতা কমাতে সহায়ক। পরান নিজে দীর্ঘদিন ধরে অভিনয়ে ও ব্যক্তিগত মঞ্চে এমনই নীরব চরিত্রধারণ করে আসছেন; তাই তাঁর কথায় আছে বাস্তবতার এক টুকরো।
এ বিষয়টি নিয়ে যদি কেউ মন্তব্য চান, পরান বলেই দিলেন, কথাগুলো কোনো কড়া বক্তব্য নয়; বরং এক ধরনের মনোবল, নীরব আত্মরক্ষার নির্মল পাঠ। আর সেটাই হয়তো আজকের ভাঙা সমাজে ব্যক্তিগত শান্তি ও আত্মসম্মান বজায় রাখার সবচেয়ে কার্যকর উপায়ের একটি।
এমকে/এসএন