বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রুমিন ফারহানা বলেছেন, ‘প্রত্যেকটি রাজনৈতি দলের নিজস্ব এজেন্ডা, বক্তব্য, পলিসি ও সংবিধানের বিষয়ে মতামত আছে। জোর করে ঐকমত্য চাপিয়ে দেওয়া যায় না। আপনি যখন বিভিন্ন রাজনৈতি দলের সঙ্গে বসবেন, তখন ভিন্ন ভিন্ন মত আসবে। এসব মতের মধ্যে কতটুকু একমতে আসা যায়। সেগুলো হলো প্রধান চ্যালেঞ্জ।’
একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টক শোতে এসব কথা বলেন তিনি।
রুমিন ফারহানা বলেন, ‘দলগুলো যে একেবারেই একমতে আসেনি কোনো ব্যাপারে, তা কিন্তু নয়। এক ব্যক্তি ১০ বছরের বেশি প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবে না—এ বিষয়ে বিএনপি অনেকখানি ছাড় দিয়ে মেনে নিয়েছে।
সংসদে উচ্চকক্ষের ব্যাপারে দলগুলো একমত হয়েছে। ডেপুটি স্পিকার বিরোধী দল থেকে হবে, এটা নিয়েও একমত হয়েছে। সংসদে যে স্থায়ী কমিটিগুলো আছে, গুরুত্বপূর্ণ ৫-৬টি কমিটি প্রধান বিরোধী দল থেকে হবে। সেখানেও দলগুলো একমত হয়েছে। পিআর নিয়ে দলগুলো একমত হতেও পারে। বিএনপির নোট অব ডিসেন্ট দিয়েছে। তবে বিএনপি এ ব্যাপারে ছাড় দিলেও দিতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘কিভাবে সনদ বাস্তবায়ন হবে, এ বিষয়ে ঐকমত্যে আসার চেষ্টা কম করা হয়নি। গণভোট সংবিধানে নেই। প্রাথমিকভাবে বিএনপি সে ব্যাপারে একমত না হলেও পরে মেনে নিয়েছে ঠিক আছে গণভোট হোক। উচ্চকক্ষ-পিআর নিয়ে শ্রমজীবী মানুষের কোনো ধারণা নেই। গণভোট হলে হ্যাঁ বা না এর মধ্য দিয়ে তারা কিভাবে যাবে? সেজন্য মানুষ কি চেয়েছে, সেটার দিকে নজর দিতে হবে।’
কেএন/টিকে