অস্ট্রেলিয়ানরা মাইক হাসিকে বলে ‘মিস্টার ক্রিকেট।’ বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক, নির্বাচক ও বর্তমানে ‘হেড অফ গেম ডেভোলপমেন্ট’ হাবিবুল বাশার সুমন মনে করেন মুশফিকুর রহিম হলেন বাংলাদেশের ‘মিস্টার ক্রিকেট।’
রোববার মুশফিকুর রহিমের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে হাবিবুল বাশার দেশের একটি গণমাধ্যমকে জানান, ‘পরের বছরগুলোয় মুশফিকের ওঠানামা হয়েছে অনেক। তার ক্যারিয়ারের অনেক ফেইজও গেছে। শুরুর দিকে সে সবার মতই ছিল। পরে যতদিন গেছে ততই জানা হয়েছে মুশফিক বাকিদের চেয়ে আলাদা। ও নিজেকে অন্য জায়গায় নিয়ে গেছে। ক্রিকেটের তত মুশফিকের ডেডিকেশন, প্যাশন তত বেড়েছে। মাইক হাসিকে বলা হতো ‘মিস্টার ক্রিকেট।’
‘আমার মনে হয় মুশফিককেও যদি বলা হয় মিস্টার ক্রিকেট, তাহলে অত্যুক্তি হবে না। মুশফিকের জীবনে ক্রিকেটই শেষ কথা। তার ভাললাগা, ভালবাসা, শখ, পছন্দ, বিনোদন, অবসর, চিন্তা-ভাবনা আমার মনে হয় সবই ক্রিকেট। অফকোর্স তার পার্সোনাল লাইফ আছে। তারপরও আমাকে যদি বলা হয়, মুশফিকের সব কিছুতেই প্রথম ও শেষ হলো ক্রিকেট। ক্রিকেটকে ঘিরেই তার সবকিছু। এজন্যই শুরুর সাথে আজকের মুশফিকের অনেক মিল। সে প্রথমদিন যেমন পরিশ্রমী ছিল, প্র্যাকটিসে, প্র্যাকটিসের বাইরে আগে ও পরে যত পরিশ্রম করেছে, বাড়তি ঘাম ঝরিয়েছে, এখনই ঠিক তাই করে। সম্ভবত আগের থেকে বেশিই করে।
মুশফিকের সাথে আপনার কোন বিশেষ স্মৃতি আছে কী? ‘ওরকম কিছু নেই। তবে আমরা প্রথম থেকেই জেনে যাই মুশফিক খুব ইমোশনাল। আর মাঠে টেন্সড থাকতো খুব। ওর টেনশন কাটাতে আমরা তাকে নিয়ে ফান করতাম। হালকা চটুল কখনো একটু আজেবাজে কথা বলে ওর মাইন্ডটা অন্যদিকে ঘোরানোর চেষ্টা করতাম। খোঁচাতাম। খুনসুঁটি করতাম। চটাতাম। কিছু বাজে কথাও বলতাম। সে লজ্জায় লাল হয়ে যেত। আমরা চাইতাম ওকে ফ্রি করতে।’
‘পরে আর বেশিদিন আমি খেলিনি। তারপর নির্বাচক হিসেবে দেখেছি- হি ইজ এ ইমোশনাল গাই। বাট ওর ইমোশনটাও ক্রিকেট নিয়ে। আমরা চাইতাম ও ভাল খেলুক। ও ভাল খেললে তার সাথে আনন্দ, কৌতুক করা যায়। খারাপ খেললে নিজেকে নিজের মধ্যে গুটিয়ে ফেলতো। আমরা চাইতাম সে ভাল খেলে উৎফুল্ল থাকুক। একটা উদাহরণ সেট করে গেছে। হি ইজ এ আইকন অফ আওয়ার ক্রিকেট। ডেফিনটলি, মুশফিক একটা উৎকৃষ্ট উদাহরণ। কোচদের জন্যেও মুশফিক আদর্শ ক্যারেক্টার। আমি নিশ্চিত বাংলাদেশের ক্রিকেট যত দিন থাকবে , মুশফিকের কথাও ততদিন থাকবে। সবাই মনে রাখবে একজন আদর্শ ক্রিকেট ক্যারেক্টার ছিল মুশফিকুর রহিম।
ইএ/টিকে