রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে ৩ দফা ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। শুক্রবারের শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর শনিবার (২২ নভেম্বর) সকালে ও সন্ধ্যায় আবারও কম্পন অনুভূত হয়। এতে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
শুক্রবারের শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর এ বিষয়ে কথা বলেন বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক এ কে এম শাকিল নেওয়াজ। গতকাল তিনি বলেন, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় শুক্রবার অনুভূত ভূমিকম্প ফোর শক মাত্র, মেইন শক এখনো আসেনি।
তিনি বলেন, ‘ভূমিকম্পের তিনটি ধাপ থাকে—ফোর শক, মেইন শক এবং আফটার শক। শুক্রবারের কম্পন হলো ফোর শক, যা মূল ভূমিকম্পের আগেই সতর্কবার্তা হিসেবে এসেছে। এটি আমাদের ঝাঁকি দিয়েছে এবং সজাগ করেছে।’
তিনি আরও বলেন, যখন আসল রূপে মেইন শক আসবে, তখন পরিস্থিতি কেমন হবে—এর অভিজ্ঞতা আমাদের নেই। এটা আমাদের জন্য বিরাট চ্যালেঞ্জ।’
শাকিল নেওয়াজ জানিয়েছেন, মেইন শকের মাত্রা রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ৮ বা তার বেশি হতে পারে। এরপরই থাকবে আফটার শক।
এদিকে শনিবার সকালে ফের কম্পন অনুভূত হয়, যার মাত্রা ছিল ৩ দশমিক ৩।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, শনিবার সকাল ১০টা ৩৬ মিনিটে নরসিংদীর পলাশ উপজেলায় আবারও মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৩ দশমিক ৩।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তা নিজামউদ্দিন আহমেদ জানান, এটি স্বল্পমাত্রার ‘মাইনর’ ভূমিকম্প হলেও স্থানীয়ভাবে অনেকে কম্পন টের পেয়েছেন।
একই দিনে আবারও সন্ধ্যায় আরেক দফা ভূমিকম্পে কেঁপে উঠে রাজধানীসহ আশেপাশের এলাকা, এই কম্পনের মাত্রা ছিল ৩ দশমিক ৭। ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূকম্পন পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের কর্মকর্তা রুবাঈয়্যাৎ কবীর সংবাদ মাধ্যমকে জানান, এই উৎপত্তিস্থল ছিল রাজধানী ঢাকার বাড্ডায়।
এদিকে ইউরোপিয়ান মেডিটেরিয়ান সিসমোলজিক্যাল সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী, আজ শনিবার সন্ধ্যা ৬টা ৬ মিনিটে এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। রিখটার স্কেলে এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৩ দশমিক ৭।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূকম্পন পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের কর্মকর্তা রুবাঈয়্যাৎ কবীর সংবাদ মাধ্যমকে জানান, এই উৎপত্তিস্থল ছিল রাজধানী ঢাকার বাড্ডায়।
এদিকে ইউরোপিয়ান মেডিটেরিয়ান সিসমোলজিক্যাল সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী, আজ শনিবার সন্ধ্যা ৬টা ৬ মিনিটে এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। রিখটার স্কেলে এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৩ দশমিক ৭।
ইএ/টিকে