অভিনেত্রী ভাগ্যশ্রী বোর্সেকে ঘিরে উঠেছে এক ভিন্নধারার আলোচনা—নায়িকাদের কীভাবে দেখা হয়, কিংবা কীভাবে উপস্থাপন করা হয় আমাদের চলচ্চিত্রসুলভ দৃষ্টিভঙ্গিতে। একই শিল্পীর দুই কাজ যেন দাঁড়িয়ে গেছে একেবারে বিপরীত দুই প্রান্তে, আর সেখানেই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে পরিচালকের দৃষ্টিভঙ্গির ভূমিকা।
তেলেগু ছবিতে তাঁর অভিষেক ছিল হরিশ শংকর পরিচালিত আর রবি তেজা অভিনীত বাণিজ্যিক ধারার সিনেমায়। সেখানে ভাগ্যশ্রীকে রাখা হয়েছিল পুরোপুরি সাজসজ্জা আর বাহারি উপস্থিতির খাঁচায়। গল্প বা অভিনয়চরিত্রের গভীরতায় তাঁর জন্য জায়গা ছিল না বললেই চলে। দর্শক–সমালোচকের বড় একটি অংশ মনে করেছিলেন, তাঁকে যেন কেবল চোখের আরাম দেওয়ার উপাদান হিসেবেই রাখা হয়েছিল।
কিন্তু গল্প পুরো বদলে গেল কান্থা ছবিতে। সেল্বামনি সেলভারাজের পরিচালনা আর দুলকার সালমান ও রানা দাগ্গুবতীর প্রযোজনায় তৈরি এই প্রজেক্ট ভাগ্যশ্রীকে নতুন আলোয় হাজির করল। এখানে দেখা গেল তাঁর আবেগের বিস্তার, অন্তর্গত টানাপোড়েন আর শক্তিশালী উপস্থিতি। চরিত্রটি ছিল স্তর-বহুল, সংবেদনশীল, আর সেই গভীরতাকে তিনি যে নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন, এটাই এখন তাঁর ক্যারিয়ারের বড় পরিচয়।
এই দুই ছবির অভিজ্ঞতা যেন ভারতীয় সিনেমার দীর্ঘদিনের একটি সমস্যাই সামনে এনে দিল। কেবল বাহ্যিক সৌন্দর্যের খাঁচায় শিল্পীদের আটকে রাখলে তাঁদের প্রকৃত প্রতিভা চাপা পড়ে যায়। আর যখন সুযোগ মেলে, তখনই বোঝা যায়, সেই প্রতিভা কতদূর উড়তে পারে।
আইকে/টিএ