সাবেক এনসিপি নেত্রী নীলা ইসরাফিল বলেছেন, ইউনেস্কো ২০০৮ সালে বাউল সঙ্গীতকে ‘ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ অব হিউম্যানিটি’ স্বীকৃতি দিয়েছে। আমার এই দেশে বাউল শিল্পীর গলা ধরা মানে বাংলার মাটির আত্মাকে শ্বাসরুদ্ধ করে মেরে ফেলা। সেই কাজটাই আপনারা করলেন।
সম্প্রতি নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডির এক ভিডিও বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন।
নীলা ইসরাফিল বলেন, আপনারা কেন একজন বাউল শিল্পীকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাবেন? সে কি অপরাধ করেছে? সে বলেছে, ইতিমধ্যে মাজার ভাঙা হয়ে গেছে। যেহেতু সামনে নির্বাচন, এখন মাজার ভাঙছে না, সামনে এরকম ঘটনা আরো ঘটতে পারে। সুতরাং আমরা স্বাধীনভাবে যেন গান গাইতে পারি, যে দল আমাদেরকে স্বাধীনভাবে সঙ্গীত চর্চা করতে দিবে, আমরা তাদেরকে ভোট দিব। সেটা কি ধর্ম অবমাননার মধ্যে পড়ে?
নীলা বলেন, জামায়াতে ইসলামী যেভাবে মব সৃষ্টি করছে বাংলাদেশে ড. ইউনূস সিটে বসে চুপচাপ দেখছে।
সে মব সৃষ্টিকারের প্রধান নায়ক। এই যে মব সৃষ্টি হচ্ছে এটা নিয়ে সে কথা বলছে না। সে বিদেশ নিয়ে পড়ে আছে। অথচ জামায়াতে ইসলামী কী করে যেখানে সেখানে যাকে পাচ্ছে ধরে মারছে?
নীলা আরো বলেন, আমার এই দেশে লালনের জন্ম হয়েছে, আমার এই দেশে লালন চর্চা হয়।
আমার দেশে হাসন রাজার জন্ম হয়েছে। আমার এই দেশে কাজী নজরুল ইসলামের জন্ম হয়েছে। আমরা এখনও যদি যুদ্ধ করতে যাই, এখনও যদি আন্দোলন করতে যায়- তাদের কথায়, তাদের লিখনীতে, তাদের কাবিতায়, তাদের গানে, তাদের ছন্দে- আমরা অনুপ্রাণিত হই। আমরা তাদের তালে তালে আন্দোলনগুলো করি।
টিকে/