পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানিয়েছেন, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ভূমিকম্প সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে কয়েকজন বিশেষজ্ঞকে ডেকেছেন।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
সোমবার (২৪ নভেম্বর) রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে এ কথা জানান তিনি।
রিজওয়ানা হাসান জানান, ৬ মাস থেকে ১ বছরের মধ্যে ঝুঁকি অ্যাসেসমেন্ট শেষ করতে হবে। ঝুঁকি সম্পর্কে জানতে এলাকাভিত্তিক বিভিন্ন ফার্মকে সার্ভের কাজের দায়িত্ব দিতে হবে।
রাজউকের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে সার্ভের কাজ দ্রুত করতে হবে বলেও জানান তিনি।
এসময় শিল্প, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেন, থার্ডপার্টির মাধ্যমে অ্যাসেসমেন্টের কাজ শেষ করতে হবে।
রাজউকের ক্ষমতা বাড়াতে দ্রুতই পদক্ষেপ নেয়া হবে।
ঝুঁকি মোকাবিলায় ট্রাস্ট গঠনের কাজ চলছে বলেও জানান তিনি।
এসময় রাজধানীতে প্রায় ৩০০টি ছোট-বড় ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত করা হয়েছে বলে জানান রাজউক চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলাম।
রাজউক চেয়ারম্যান বলেন, সমন্বিতভাবে কাজ না করা গেলে ভূমিকম্প পরবর্তী পরিস্থিতি সামলানো সম্ভব না। সবাইকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
যথাযথ নিয়ম মেনেই ভবন নির্মাণের অনুমোদন দেয়া হয় জানিয়ে রিয়াজুল ইসলাম বলেন, অর্থের বিনিময়ে রাজউকে কোনো কাজ হয় না।
রাজউক কাউকে প্ল্যান করে দেয় না উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, বাড়িওয়ালারাই ইঞ্জিনিয়ার বা আর্কিটেক্ট দিয়ে বাড়ির প্ল্যান করে রাজউকে জমা দেয় এই শর্তে যে, রাজউকের নিয়ম মোতাবেক করবো। পরবর্তীতে তারা সেটা না মানলে জরিমানা কিংবা শাস্তি দিতে হলে সেই বাড়িওয়ালাদেরই দেয়া উচিত। এই দায়ভার রাজউকের না।
তিনি বলেন, সিটি করপোরেশন, রাজউক ও ফায়ার সার্ভিস আলাদাভাবে কাজ করায় বিশৃঙ্খল অবস্থায় আছে সব।
এমকে/এসএন