ব্যাট হাতে অল্পের জন্য সেঞ্চুরি মিস করলেও বল হাতে জ্বলে উঠলেন মার্কো জানসেন। ভারতের ব্যাটিং অর্ডার রীতিমতো গুঁড়িয়ে দিয়ে ৪৮ রান খরচায় ৬ উইকেট নেন। সেই সঙ্গে দ্যুতি ছড়ালেন সাইমন হার্মার। প্রোটিয়া বোলারদের তোপে ভারতকে ফলো-অন করানোর সুযোগ পেলেও, সেই পথে গেল না দক্ষিণ আফ্রিকা। আবারও ব্যাটিংয়ে নেমে ভারতের সামনে রানের পাহাড় গড়ছে সফরকারীরা।
গুয়াহাটি টেস্টে ভারতকে প্রথম ইনিংস ২০১ রানে থামিয়ে দিয়ে ২৮৮ রানের লিড পেয়েছে প্রোটিয়ারা। পরে আবার ব্যাটিংয়ে নেমে কোনো উইকেট না হারিয়ে ২৬ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শেষ করে তারা। টেম্বা বাভুমার দল এগিয়ে ৩১৪ রানে। ভারতের মাটিতে প্রথম ইনিংস শেষে এর চেয়ে বেশি লিড পেয়ে প্রতিপক্ষকে ফলো-অন না করানোর নজির আছে একটি। ২০১৭ সালে ২৯৯ রানে এগিয়ে থেকেও বাংলাদেশকে ফলো-অন করায়নি ভারত।
ইডেনে ভারতকে আড়াই দিনে হারানোর পর গুয়াহাটিতে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে সেনুরান মুথুসামির প্রথম সেঞ্চুরি ও মার্কো জানসেনের নাভার্স-নাইন্টিতে ভারতের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৪৮৯ রানের বড় সংগ্রহ পেয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। জবাবে শুরুটা খারাপ ছিল না স্বাগতিকদের। রাহুলকে ফিরিয়ে ৬৫ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন কেশভ মহারাজ।
নতুন বলে পেস বোলারদের ভালোই সামলাচ্ছিলেন লোকেশ রাহুল। কিন্তু স্পিনেই যেন পতনের শুরু। কেশব মহারাজের বল পিচে পড়ে সামান্য ঘুরেছিল। সামনের পায়ে ডিফেন্স করতে গিয়ে স্লিপে ক্যাচ তুলে দেন রাহুল। বল ভালো ছিল। ঠিকঠাক সামলাতে পারলেন না রাহুল। একমাত্র যশস্বী জয়সওয়ালকেই যা একটু সাবলীল দেখাচ্ছিল। অর্ধশতরান করেও খেলছিলেন। সেই তিনিও ৫৮ রানের মাথায় সাইমন হারমারের বলের বাউন্সই সামলাতে পারলেন না। শট খেলতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। এরপর আর কেউ কেউ দাঁড়াতে পারেননি।
৯৫ রানে ২ উইকেট থেকে ১২২ রানের মাথায় ৭ উইকেটের পতন হয় ভারতের। শেষ দিকে কুলদীপ যাদব ও ওয়াশিংটন সুন্দরের ব্যাটে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে স্বাগতিকরা। ২০৮ বলে ৭২ রান যোগ হয় দুজনের জুটি থেকে। শেষ পর্যন্ত ২০১ রানে থামে ভারতের লড়াই।
প্রথম ইনিংস
দক্ষিণ আফ্রিকা: ৪৮৯/১০ (মুথুস্বামী ১০৯, জানসেন ৯৩, কুলদীপ ১১২/৪)
ভারত: ২০১/১০ (যশস্বী ৫৮, ওয়াশিংটন ৪৮, জানসেন ৪৮/৬)
দ্বিতীয় ইনিংস
দক্ষিণ আফ্রিকা: ২৬/০ (রিকেলটন ১৩*, সিরাজ ৮/০)
দক্ষিণ আফ্রিকা এগিয়ে ৩১৪ রানে।