ধর্মেন্দ্র ভারতীয় বাণিজ্যিক সিনেমায় একটা যুগ! শুধু এ কথা বলা যথেষ্ট নয়। তিনি দিলীপ কুমার উত্তর যুগের এবং অমিতাভ বচ্চনের আবির্ভাবের অন্তর্বর্তী সময়ের সবচেয়ে বড় তারকা। ৯০ বছর পূর্ণ হওয়ার ১৫ দিন আগে তিনি প্রয়াত হলেন। তাঁর মৃত্যুতে শোকার্ত পুরো বলিউড, পাশাপাশি গণমাধ্যম থেকে সাধারণ ভক্ত অনুরাগীরাও তাঁকে খুঁজছেন তার অভিনীত বিভিন্ন চরিত্রে:
শোলে – ১৯৭৫
ধর্মেন্দ্রর ভীরু চরিত্র আজও দর্শকের হৃদয়ে একই ভাবে রয়ে গেছে। অমিতাভের সঙ্গে বন্ধুত্ব, হেমা মালিনীর সঙ্গে রসায়ন-সব মিলিয়ে ‘শোলে’ এক অনন্য অনুভূতি।
বন্দিনী – ১৯৬৩
ব্রিটিশ আমলে এক ডাক্তার প্রেমে পড়ে এক নারী বন্দির, আর ধীরে ধীরে সামনে আসে তার অতীতের লড়াই। স্বাধীনতা সংগ্রামীর সঙ্গে তার সম্পর্কই গল্পকে এগিয়ে নেয়।
শালিমার – ১৯৭৮
বিশ্বের সেরা জুয়েল থিফ স্যার জন লক্সলি তার মূল্যবান শালিমার রত্নের উত্তরসূরি খুঁজতে প্রাণঘাতী প্রতিযোগিতার আয়োজন করেন। দ্বীপে জড়ো হয় প্রতিদ্বন্দ্বী চোরদের সেরা দল।
মমতা – ১৯৬৬
ধনী পরিবারে জন্মানো মোনিশ প্রেমে পড়ে গরিব পরিবারের দেবযানীর। সামাজিক দূরত্ব আর মানসিক টানাপোড়েনেই শুরু হয় তাদের প্রেমকাহিনি।
জুগনু – ১৯৭৩
দিনে ধনী ব্যবসায়ী, রাতে সাধারণ মানুষের রক্ষাকর্তা-এমনই দ্বৈত জীবনের যাত্রা ‘জুগনু’র নায়ক। অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করাই তার একমাত্র লক্ষ্য।
ফুল অউর পাথর – ১৯৬৬
শাকা চরিত্রে কঠিন বাহির আর নরম হৃদয়ের মিশেল দেখিয়ে হৃদয় জয় করেছিলেন তিনি। এই ছবিই তাকে এনে দেয় প্রথম ফিল্মফেয়ার মনোনয়ন।
সত্যকাম – ১৯৬৯
সত্যপ্রিয়া চরিত্রে দুর্নীতিগ্রস্ত সমাজে এক সৎ মানুষের লড়াই ফুটিয়ে তোলেন ধর্মেন্দ্র। সরলতা ও যন্ত্রণা মেশানো তার অভিনয় আজও সমালোচকদের প্রিয়।
সীতা অউর গীতা – ১৯৭২
হেমা মালিনীর সঙ্গে হাস্যরস আর খেলাধুলে ভরা অভিনয়ে দর্শককে আনন্দে ভরিয়ে দেন তিনি। হালকা মেজাজের এই চরিত্র আজও জনপ্রিয়।
অনুপমা – ১৯৬৬
নির্ভীক হিরো নয়, এখানে ধর্মেন্দ্র এক শান্ত, সংবেদনশীল কবি আশোক। শর্মিলা ঠাকুরের সঙ্গে তাঁর নরম, নীরব প্রেম দর্শকের মনে আজও জায়গা করে রেখেছে।
হাকীকত ১৯৬৪
সিনো-ইন্ডিয়া যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে সৈনিক চরিত্রে ধীর, গভীর অভিনয় দেন ধর্মেন্দ্র। সাহস আর ত্যাগের গল্পে তাঁর ভূমিকা ছিল হৃদয়স্পর্শী ও শক্তিশালী।