খান-কাপুরদের পাশাপাশি বলিউডের বাস্তুতন্ত্রে দেওল পরিবারের অবদান কম নয়। ধর্মেন্দ্রর যোগ্য উত্তরসূরী হিসেবে তাঁর দুই পুত্র সানি দেওল, ববি দেওলরাও বক্স অফিসে বরাবর নম্বর তুলে এসেছেন। তবে কিংবদন্তি অভিনেতা একবার আক্ষেপ করে বলেছিলেন, “বলিউড কখনও দেওলদের যোগ্য সম্মানটুকু দেয়নি!” সোমবার ধর্মেন্দ্রর প্রয়াণের খবর পেয়ে যখন খান, বচ্চন-সহ বলিমহলের তাবড় তারকারা ভিলে পার্লে শ্মশানে অভিনেতাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে পৌঁছন, তখন এমন আবহে চর্চায় ‘অভিমানী’ ধর্মেন্দ্রর সেই মন্তব্য।
সালটা ২০২৩। ধর্মেন্দ্র তখন ‘রকি অউর রানি কি প্রেমকাহানি’র সাফল্য উপভোগ করছেন। শাবানা আজমির সঙ্গে তাঁর অনস্ক্রিন চুমু রীতিমতো চর্চায়। যা দেখে বর্তমান প্রজন্মের তারকারাও ‘চার্মিং হি ম্যান’কে দলে দলে প্রশংসায় ভরাচ্ছেন। কিন্তু সেসময়েই এক সাক্ষাৎকারে বলিউড সিনে ইন্ডাস্ট্রির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক এক অভিযোগ তোলেন ধর্মেন্দ্র। কিংবদন্তি অভিনেতা জানান, “বক্সঅফিসে একাধিকবার সাফল্য আসার পরও দেওল পরিবারকে কখনও বলিউড যোগ্য সম্মান দেয়নি।” খুব আক্ষেপের সুরে ধর্মেন্দ্র বলেছিলেন, তাঁর দুই ছেলে সানি দেওল কিংবা ববি দেওলরা একাধিক হিট সিনেমা উপহার দিলেও ইন্ডাস্ট্রির কেউ তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করেননি। তবে কেউ প্রাপ্য সম্মানটুকু না পেলেও দেওলরা কোনওদিনই নিজেদের ঢাক নিজেরা পেটায় না।
ঠিক কী বলেছিলেন ওই সাক্ষাৎকারে ধর্মেন্দ্র? অভিনেতার কথায়, “আমাদের পরিবারের কেউ নিজেদের প্রচার নিজেরা করে না। তাঁরা সকলেই কাজের মাধ্যমে জবাব দেওয়ায় বিশ্বাসী। সানি দেওল তাঁর ফিল্মি কেরিয়ারে ২ দুটো বড় ব্লকবাস্টার সিনেমা উপহার দেওয়ার পরও কোনওদিন নিজের হয়ে ঢাক পেটায়নি। আর ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির কেউ কোনওদিন আমাদের কথা উল্লেখ করেননি।” পাশাপাশি ধর্মেন্দ্রর এও জানান যে, “আমাদের কাছে ভক্তদের ভালবাসাই বড়। ইন্ডাস্ট্রির কেউ হিন্দি সিনেমায় আমাদের অবদান স্বীকার করল কি না করল, তাতে কিছু যায় আসে না। ১৯৬৯ সালের ‘সত্যকাম’ ছবির জন্যও কোনও পুরস্কার পাইনি কোনওদিন। যে সিনেমায় শর্মিলা ঠাকুর, অশোক কুমার, সঞ্জীব কুমারদের মতো অভিনেতারাও ছিলেন।”
ইউটি/টিএ