গতকাল বুধবার কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে করা মামলায় কামরুল ইসলাম রিয়াজ ওরফে ম্যাক্স অভি ও সাদিয়া রহমান মিথিলার জামিন বাতিল করে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। তবে বৃহস্পতিবার কামরুল ইসলাম রিয়াজ ওরফে ম্যাক্স ওভি আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিন নিয়েছেন।
এর আগে বাদীপক্ষের আইনজীবী শান্তা সাকসিনা বলেন, আসামিরা জামিনে থেকে বাদীকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন। এসব কারণ উল্লেখ করে মামলার বাদী হিরো আলম একটা সাধারণ ডায়েরিও করেছেন।
এ ছাড়া এ মামলায় আসামিরা জামিনের শর্ত ভঙ্গ করেছেন। আসামিরা জামিনের শর্ত ভঙ্গ করায় তাদের জামিন বাতিল চেয়ে আমরা আবেদন করি। শুনানি শেষে আদালত এ আদেশ দেন।
তবে বৃহস্পতিবার বিকেলে ম্যাক্স অভি দেশের একটি গণমাধ্যমকে বলেন, আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে তা সত্য নয়।
আমি আজ আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিন নিয়েছি। উল্টো হিরো আলম আমাকে নানা রকম হুমকি-ধমকি দিয়ে যাচ্ছেন। আমি এবার তার বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ২৯ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৭টার দিকে আফতাবনগর এলাকায় মেইনরোড দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় ৬ জন লোক তিনটি মোটরসাইকেলে এসে হিরো আলমের পথরোধ করেন।
এরপর জোর করে তারা তাকে পাশের কাশবনে নিয়ে যায় এবং কামরুল ইসলাম রিয়াজ ওরফে ম্যাক্স অভির হাতে থাকা কাঠের লাঠি দ্বারা মাথায় আঘাত করে। বাম হাত দিয়ে আঘাতটি ফেরাতে গেলে গুরুতর জখম হন। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আসামিরা হাতে থাকা লোহার ধারালো স্কেল দিয়ে তাকে আঘাত করে। আঘাতটি তার ডান হাতের কনুইয়ে লাগে। এতে গুরুতর রক্তাক্ত হন।
পরবর্তীতে অজ্ঞাতনামা আসামিরা হাতের লাঠি দ্বারা তার মাথায় আঘাত করলে আঘাতটি কপালের বাম দিকে লাগে। পরে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
তখন আসামিরা তার সারা শরীরে এলোপাতাড়ি কিল, ঘুষি, লাথি ও চড়-থাপ্পড় মেরে জখম করে। ম্যাক্স অভি তার হনোর ব্রান্ডের একটি মোবাইল ভেঙে ফেলে। যাওয়ার সময় আসামিরা বিভিন্ন ভয়ভীতি ও হুমকি দেয়। পরে আশপাশের মানুষের সহযোগিতায় হাসপাতালে যান তিনি। এ অভিযোগে গত ৫ অক্টোবর বাড্ডা থানায় মামলা করেন হিরো আলম।
এমকে/এসএন