সংবাদ নিজের পক্ষে না আসায় ফোন করে সাংবাদিককে নিউজ ডিলিট করতে বলেন ডাকসুতে পরাজিত ছাত্রদলের আবিদুল। এ সময় সাংবাদিককে করজোড়ে অনুরোধ করে সংবাদটি সরিয়ে ফেলতে বলতে দেখা যায়। তবে নিরপেক্ষতা রাখতে সে সময় বাংলাদেশ টাইমস তার অনুরোধ রাখেনি।
এ ঘটনা গেল ডাকসু নির্বাচনের সময় ঘটে। ডাকসু নির্বাচনে বড় পরাজয় ঘটে আবিদুলের। ভোটের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাকে প্রত্যাখ্যান করেন! এমনকি নির্বাচনের রাতে ভোট গণনার মুহূর্তে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে জোরজবরদস্তি করেন তিনি।
তার আগে বাংলাদেশ টাইমস একটি ভিডিও প্রকাশ করে। যেখানে দেখা যায় ছাত্রদলের ভিপি পদে প্রার্থী আবিদুলের পক্ষে কাজ করছে না ছাত্রদল নিজেই। 'হলে' গিয়ে প্রচারণার সময় ছাত্রদলের গুরুত্বপূর্ণ নেতারা হল ছেড়ে চলে যান। সেই দৃশ্য উপস্থিত সাংবাদিকদের ক্যামেরাবন্দি হয়।
নির্বাচনী প্রচারণার এমন একটি দৃশ্য বাংলাদেশ টাইমসকে ডিলিট করতে বলেন আবিদুল। এমনকি একপর্যায়ে তিনি গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করতে থাকেন। যা একজন তরুণ সম্ভাবনাময় রাজনৈতিকের কাছ থেকে 'অপ্রত্যাশিত' বলে ওই সময় অনেকেই মন্তব্য করেছেন।
৫ ডিসেম্বর শাহবাগ থানায় গিয়ে ওসিকে স্যার ডেকে আবিদুলকে সেই প্রসঙ্গ আবার তুলতে দেখা যায়। বিষয়টি বাংলাদেশ টাইমসের নজরে এসেছে। এতে দেখা যায়, আবিদুল ওসিকে বলছেন তাকে নাকি বলা হয়েছে-'নিউজ ডিলিট হবেনা যা পারবেন করেন'। এছাড়াও পরাজিত হওয়ায় এবং সত্য ঘটনা গণমাধ্যমে উঠে আসায় সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম নিয়ে তার নাখোশ প্রকাশ করতে দেখা যায়।
বাংলাদেশ টাইমস -একজন ছাত্রনেতার এরকম গণমাধ্যম বিরোধী ভূমিকায় এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতার বিপক্ষে অবস্থানের তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
বাংলাদেশ টাইমস সত্য এবং নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশনে বদ্ধপরিকর। তবে কোন সংবাদে ভুল ত্রুটি পরিলক্ষিত হলে সেটি সংশোধন করে পুনরায় প্রকাশে 'আপডেট' জানিয়ে থাকে বাংলাদেশ টাইমস।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলে আবিদুলের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও দলের শৃঙ্খলা বিরোধী আরো কর্মকাণ্ডের সংবাদ আসছে বাংলাদেশ টাইমসে...
টিকে/