দায়িত্ব নেওয়ার সময় অন্তর্বর্তী সরকারের নির্বাচন দেওয়ার কোনো শর্ত ছিল না বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। গতকাল সোমবার সচিবালয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের এক বছরের অর্জন ও সাফল্য নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা যখন ৮ আগস্ট আসি (দায়িত্ব নিই) তখন তো আমাদের কেউ ম্যান্ডেট দেয়নি যে ভাই আপনাকে এক/দেড়/দুই বছরের মাথায় নির্বাচন দিতে হবে। তখন তো কিছুই ছিল না, ব্ল্যাংক।
তবে দেশে একটা নির্বাচন হওয়া উচিত, নির্বাচিত সরকার আসা উচিত। ইউনিভার্সাল ডেমোক্রেটিক প্রসেসটা এস্টাবলিশড হওয়া উচিত। গত ১৭-১৮ বছর ডেমোক্রেটিক প্রসেস এস্টাবলিশড হতে দেখিনি। আমরা যদি সেটা করতে পারি, সেটা আমাদের বড় ক্রেডিট।
সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে সরকারের না পারার কোনো কারণ নেই।’
শ্রম উপদেষ্টা বলেন, ‘এখন যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি, তাতে রাজনৈতিক দলগুলো জানে না তারা কী করবে? তাদের ভবিষ্যৎ কী? এটা কি বাংলাদেশে নতুন? তথাকথিত ওয়ান-ইলেভেনের পরে হয়নি? আমরা কিন্তু এ নিয়েই বেঁচে আছি। আমরা কথা বলার জাতি, কথা না বলে থাকতে পারি না। রাজনৈতিক ক্যায়স তখন বলব যখন সরকার একদিকে আর রাজনৈতিক দলগুলো একদিকে থাকবে।
আমাদের কেউ গলা ধাক্কা দিয়ে বলেছে নাকি যে নির্বাচন দিতে হবে তোমাকে এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে। যখন এই সরকার আসে তখন কি এ রকম কোনো শর্ত ছিল? শর্ত ছিল না। আমরাই বললাম যে ইলেকশন হবে। সেই নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে যদি রাজনৈতিক দলের দৌড়াদৌড়ি শুরু হয়, সেটাতে তো সরকার হস্তক্ষেপ করতে পারে না। তাহলে সিচুয়েশনটা খারাপ কোথায়, সেটা আমি বোঝার চেষ্টা করছি।
নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেটা তো নির্বাচন কমিশন বলতে পারবে। আপনি তো দীর্ঘদিন নির্বাচন কমিশনে কাজ করেছেন, দৃষ্টি আকর্ষণ করলে উপদেষ্টা সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘আমি ভুলে গেছি। নির্বাচন নিয়ে আমার কাছে বলার মতো কিছু নেই। আমি নির্বাচন নিয়ে অজ্ঞ, কোনো আইডিয়া নেই। এটা নির্বাচন কমিশন বলতে পারবে।’
এবি/টিকে