ভেনেজুয়েলা উপকূলে একটি বড় তেলবাহী ট্যাংকার আটক করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ভেনেজুয়েলা সরকার ও ওয়াশিংটনের মধ্যে চলমান উত্তেজনার মধ্যেই এই ঘটনা ঘটল। ট্যাংকার আটকের খবর প্রকাশের পরেই বিশ্ববাজারে তেলের দাম সামান্য বেড়ে যায়। বাজারে তেলের সরবরাহ কমে যেতে পারে-এমন আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, জাহাজটি আটক হওয়ার খবর বুধবার (১০ ডিসেম্বর) বাজারে প্রভাব ফেলে। এতে ব্রেন্ট ক্রুডের ফিউচার-দর ০.৪ শতাংশ বেড়ে ব্যারেলপ্রতি ৬২.২১ ডলারে পৌঁছায়। যদিও বৈশ্বিক দামে সামান্য বৃদ্ধি হলেও, যুক্তরাষ্ট্রে জ্বালানি তেলের দাম এখনো বহু বছরের মধ্যে সবচেয়ে নিচে রয়েছে। এএএ’র তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে সাধারণ পেট্রলের গড় দাম চার বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো প্রতি গ্যালনে ৩ ডলারের নিচে নেমেছে।
ভেনেজুয়েলা ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক দীর্ঘদিন ধরেই উত্তপ্ত। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বহুবার নিকোলাস মাদুরোকে স্বৈরশাসক বলে সমালোচনা করেছেন। মাদুরোকে সরে যেতে চাপ দিচ্ছেন কি না—এমন প্রশ্নে ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়ে বলেন, আমরা সে দিকেই এগোচ্ছি।
গত কয়েক মাস ধরে যুক্তরাষ্ট্র ক্যারিবিয়ান সাগরে যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, মেরিন, ড্রোনসহ বিশাল সামরিক বাহিনী মোতায়েন করেছে-যা গত কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় উপস্থিতি। একই সঙ্গে মাদকবাহী সন্দেহে বেশ কিছু নৌযানে বিমান হামলাও চালানো হয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি, এসব হামলা মাদক চোরাচালান রোধ করতে প্রয়োজন।
ট্রাম্প আরও অভিযোগ করেছেন, মাদুরো একটি মাদক পাচারকারী চক্রের নেতৃত্ব দেন, যদিও মাদুরো তা অস্বীকার করেছেন। ট্রাম্প দাবি করেছেন, তিনি ভেনেজুয়েলায় সিআইএকে গোপন অভিযান চালানোর অনুমতি দিয়েছেন এবং যুক্তরাষ্ট্র “স্থল অভিযান” নিয়েও ভাবছে—যা সম্ভাব্য সামরিক হস্তক্ষেপের ইঙ্গিত দেয়।
এর আগে আগস্টে মাদুরোর অবস্থান জানাতে সক্ষম যে কোনো তথ্যদাতাকে ৫ কোটি ডলার পর্যন্ত পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র।
পিএ/এসএন