জীবাণু ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে হাঁচি দিন সাবধানে

আমরা সবাই হাঁচি দেই, কিন্তু বিভিন্ন জন বিভিন্ন কারণে হাঁচি দিয়ে থাকি। এটা মানুষের শরীরের অনিচ্ছাকৃত কর্মকাণ্ডের অংশ। নাকের ভেতরের ত্বকের বহিরাংশে উত্তেজনা সৃষ্টির মাধ্যমে, নাক-মুখ থেকে আকস্মিক প্রচুর পরিমাণে বায়ু নিঃসরণকে হাঁচি বলে।

হাঁচির সঙ্গে শ্বাসনালী ও নাকে জমে থাকা শ্লেষ্মা ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কণার আকারে বা স্প্রের মতো বের হয়। এই উপাদানগুলো ঘণ্টায় প্রায় ১৬০ কিলোমিটার বেগে দুই-তিন মিনিটে বায়ুমণ্ডলে ছড়িয়ে পড়ে। সেজন্য হাঁচিকে বলা হয় জীবাণু ছড়ানোর মাধ্যম।

হাঁচি দেয়া ব্যক্তির যদি সর্দি, ইনফ্লুয়েঞ্জা, হাম, মাম্পস, যক্ষ্মা, জলবসন্ত, সার্স, বার্ড ফ্লু, সোয়াইন ফ্লু, ডিপথেরিয়া ইত্যাদি রোগ থাকে তাহলে হাঁচির সঙ্গে এসব রোগের অসংখ্য জীবাণু বাতাসে বেরিয়ে আসে। মুহূর্তেই এসব জীবাণু কাছের মানুষের শরীরে ঢুকে পড়তে পারে। এছাড়া এসব জীবাণু বাতাসে ভেসে দূরের মানুষেও ছড়াতে পারে। তাই হাঁচি দিতে হবে সাবধানে।

বিজ্ঞানীদের হিসাব মতে, একসঙ্গে দুই বা তার অধিক হাঁচি দেয়াটা স্বাভাবিক। কারণ নাকের ভিতর থেকে ক্ষতিকর কণা যতক্ষণ পর্যন্ত না বের হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত আপনি হাঁচি দিতে থাকবেন। হাঁচির কারণ বা মানুষে মানুষে পার্থক্যের উপর নির্ভর করে মানুষ একাধারে কয়বার হাঁচি দিবে।

হাঁচি আটকানোর কোনো উপায় নেই। তবে হাঁচির মাধ্যমে জীবাণুর ছড়িয়ে পড়া ঠেকানো সম্ভব। হাঁচি এলে যথাসম্ভব নাক-মুখ ঢেকে নিতে হবে। অনেকে হাত দিয়ে নাক-মুখ ঢেকে হাঁচি দেন। এতে হাতে জীবাণু লেগে যায়। যা পরবর্তীতে অন্যদের শরীরে সংক্রমিত হয়। কারও সঙ্গে হাত মেলালে হাত থেকে হাতে ছড়ায় জীবাণু।

তাই সবচেয়ে ভালো হলো হাঁচির সময় রুমাল বা টিস্যু পেপার দিয়ে নাক-মুখ ঢাকা। তবে রুমালে হাঁচি দিলেও তা পরে ভালো করে ধুয়ে ফেলতে হবে। টিস্যু ব্যবহার করে থাকলে তা যেখানে-সেখানে না ফেলে নিরাপদ জায়গায় ফেলতে হবে। হাত দিয়ে নাক-মুখ ঢেকে হাঁচি দিয়ে ফেললে সঙ্গে সঙ্গে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিতে হবে।

মনে রাখতে হবে, আমাদের সম্মিলিত সচেতনতাই পারে নানা ধরনের রোগ সংক্রমণ ঠেকাতে। তাই হাঁচির আদবকেতা নিজে মানুন, পরিবারের শিশুসহ অন্য সদস্যদেরও মানতে উৎসাহিত করুন।

 

টাইমস/জিএস

Share this news on: