মুল্লানপুরের ঠান্ডা সন্ধ্যায় যেন হঠাৎ উচ্ছ্বাসে ভরে উঠল মহারাজা যাদবিন্দর সিং আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম। ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যকার দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টির আগে স্টেডিয়ামের স্ট্যান্ড দুটির নামকরণ হয়ে গেল দুই ক্রিকেট নক্ষত্র যুবরাজ সিং ও হরমনপ্রীত কৌরের নামে। সেই মুহূর্তে দর্শক আসনের গর্জনে যেন মিশে গেল দুই প্রজন্মের সাফল্য, দুই পথচলার গর্ব।
যুবরাজ পঞ্জাবের গর্ব, ভারতের ক্রিকেট ইতিহাসের চেতনাদায়ী অধ্যায়। ২০১১ সালের বিশ্বকাপে তার পারফরম্যান্স আজও অনুরাগীদের মনে তাজা। অসুস্থতা, লড়াই আর মাঠে ফিরে অসাধারণ ছন্দ সব মিলিয়ে তার গল্প এক অনুপ্রেরণা। তাই নিজের রাজ্যের মাঠে তাঁকে এমন সম্মান দেওয়া হলে তা আবেগে ভরিয়ে তোলে সবাইকে।
অন্য পাশে দাঁড়ানো হরমনপ্রীত যার নেতৃত্বে গত মাসেই ভারত মহিলাদের এক দিনের বিশ্বকাপ জিতেছে। সেই জয় দেশের ক্রিকেটে নতুন অধ্যায় খুলে দিয়েছে। নিজের রাজ্যে ফিরে এভাবে সম্মানিত হওয়া যেন তাঁর কাছে এক বিশেষ অনুভূতি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তাঁর সঙ্গে ছিলেন নারী দলের আরও দুই সদস্য হার্লিন দেওল ও আমনজ্যোত কৌর। ছিলেন বিসিসিআইয়ের সভাপতি মিঠুন মানহাসও।
স্টেডিয়ামের স্ট্যান্ড দুটির উদ্বোধন করেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান। শুধু সম্মানেই সীমাবদ্ধ থাকেনি অনুষ্ঠান। পঞ্জাব সরকার হরমনপ্রীত, হার্লিন ও আমনজ্যোতকে দিয়েছে ১১ লক্ষ টাকা করে, আর বিশ্বকাপজয়ী দলের ফিল্ডিং কোচ মুনিশ বালিকে দেওয়া হয়েছে ৫ লক্ষ টাকা। ক্রিকেটের প্রতি রাজ্যের এই শ্রদ্ধা আর উৎসাহ দেখে উচ্ছ্বসিত অতিথি ও সমর্থকেরা।
দুই তারকার নামে স্ট্যান্ড একদিকে যুবরাজের সংগ্রাম ও সাফল্যের ইতিহাস, অন্যদিকে হরমনপ্রীতের নেতৃত্বে নতুন যুগের সূচনা। মুল্লানপুরের রাত তাই হয়ে রইল ক্রিকেটভক্তদের কাছে স্মরণীয় এক উৎসবের মুহূর্ত।
আরপি/এসএন