অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানকে ৩ উইকেটে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। এই ম্যাচে আগে ব্যাট করে ২৮৩ রানের পুঁজি পায় আফগানরা। জবাবে খেলতে নেমে জাওয়াদ আবরারের ৯৬ ও রিফাত বেগের ৬২ রানের ইনিংসে ভর করে ৭ বল হাতে রেখেই জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশের যুবারা।
বড় লক্ষ্যে খেলতে নেমে ওপেনিং জুটিতেই জাওয়াদ ও রিফাত ১৫১ রানের জুটি গড়েন। এক পর্যায়ে মনে হচ্ছিল ১০ উইকেট হাতে রেখেই হয়তো জয় পাবে বাংলাদেশ। তবে দ্রুত বেশ রিফাত ও জাওয়াদের উইকেট হারালে সেটা সম্ভব হয়নি। বাংলাদেশের দুই ওপেনারকেই ফিরিয়েছেন রুহউল্লাহ আরব।
তৃতীয় উইকেটে অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিম ও কালাম সিদ্দিকী মিলে বাংলাদেশের হাল ধরেন। তারা জুটি গড়েন ৬৬ রানের। কালাম ফিরেছেন ২৯ রান করে। তাকে আউট করেন খান আহমদজাই। আর অধিনায়ক আজিজুল আউট হন খাতির স্ট্যানিকজাইয়ের শিকার হয়ে।
শেষদিকে এক ওভারে ২ রান আউটে বাংলাদেশের জয় নিয়ে শঙ্কা জাগে। ২ রান করা মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ। সামিউন বশির রাতুল ফেরেন কোনো রান করার আগেই। দলের যখন ১ রান দরকার তখন আউট হয়ে যান ১৩ রান করা শেখ পারভেজ জীবনও। তবে অপরাজিত থেকে বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত করেছেন রিজান হোসেন। তিনি অপরাজিত ১৩ বলে ১৭ রান করে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন। শেষ চার ওভারে বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ২১ রান।
দুবাইয়ে আইসিসি একাডেমি গ্রাউন্ডে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা আফগানিস্তান শুরুটা ভালো করতে পারেনি। ইনিংসের চতুর্থ ওভারেই বাংলাদেশকে উইকেট এনে দিয়েছেন সাদ ইসলাম রাজিন। ডানহাতি পেসারের বলে আব্দুল্লাহর হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ১৩ বলে ৩ রান করে। তবে দ্বিতীয় উইকেটে জুটি গড়ে তুলে শুরুর ধাক্কা সামাল দেন ফায়সাল এবং ওসমান। ৫০ বলে ৩৪ রান করা ওসমানের বিদায়ে ভাঙে ৬৬ রানের জুটি।
বাঁহাতি স্পিনার রাতুলের দুর্দান্ত ডেলিভারিতে বোল্ড হয়ে ফেরেন ওসমান। উজাইরউল্লাহর সঙ্গে জুটি গড়ার পাশাপাশি ৫৯ বলে হাফ সেঞ্চুরি করে তিন অঙ্ক ছোঁয়ার পথে হাঁটতে থাকেন ফায়সাল। হাফ সেঞ্চুরির পর তুলনামূলক দ্রুতগতিতে রান করেছেন তিনি। ৯১ বলে পেয়েছেন সেঞ্চুরি। যদিও একশ করার পর ফিরতে হয়েছে তাকে। ৮ চার ও ৪ ছক্কায় ১০৩ রান করা ফায়সালকে ফেরান ইকবাল হোসেন ইমন।
ব্যাট হাতে সুবিধা করতে পারেননি মাহবুব খান। ভালো ব্যাটিং করলেও হাফ সেঞ্চুরি করা হয়নি উজাইরউল্লাহর। ৫৫ বলে ৪৪ রান করে আউট হয়েছেন শাহরিয়ার আহমেদের বলে। শেষের দিকে আজিজুল্লাহ মিয়াখিল ও আব্দুল আজিজের ক্যামিওতে ২৮৩ রানের পুঁজি পায় আফগানিস্তান।
মিয়াখিল ৩৮ ও আজিজ অপরাজিত ছিলেন ২৬ রানে। বাংলাদেশের হয়ে দুইটি করে উইকেট নিয়েছেন শাহরিয়ার ও ইকবাল হোসেন ইমন।
এমআর/টিএ