ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ভবনে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সংঘটিত নৃশংস হামলার ৬ বছর পূর্ণ হলো আজ। দীর্ঘ ছয় বছর পরও হামলার সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করছে ডাকসু।
আজ সোমবার সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে ডাকসু জানায়, ২০১৯ সালের ২২ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু ভবনে তৎকালীন ক্ষমতাসীন ছাত্রলীগ ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতাকর্মীরা পরিকল্পিতভাবে হামলা চালায়। এ সময় ডাকসুর তৎকালীন ভিপি নুরুল হক নুরসহ অন্তত ২৫ জন শিক্ষার্থী গুরুতরভাবে আহত হন।
হামলার প্রায় ৪৫ মিনিট পর বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন প্রক্টর এ কে এম গোলাম রব্বানী আহত শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করতে আসেন। এই ঘটনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররাজনীতির ইতিহাসে এক ভয়াবহ ও কলঙ্কজনক অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই হামলা তৎকালীন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রত্যক্ষ সহযোগিতা ও নীরব সমর্থন ছাড়া সম্ভব ছিল না। হামলার পরও দায়ীদের বিরুদ্ধে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা না নেওয়া, তদন্ত প্রক্রিয়াকে দীর্ঘায়িত করা এবং ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা তৎকালীন প্রশাসনের দায়িত্বহীনতা ও পক্ষপাতিত্বেরই প্রমাণ। তাই এই হামলার দায় এড়াতে পারে না তৎকালীন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ডাকসু এই ঘটনার জন্য সংশ্লিষ্ট তৎকালীন প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও যথাযথ প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানাচ্ছে।
এতে আরো বলা হয়েছে, গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ করা যাচ্ছে যে—বর্তমান বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও এই গুরুতর ঘটনার বিষয়ে এখনো কোনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। এই নিষ্ক্রিয়তা গ্রহণযোগ্য নয়। ডাকসু এই বিষয়ে বর্তমান প্রশাসনের ভূমিকার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে এবং অবিলম্বে ২২ ডিসেম্বরের হামলার সঙ্গে জড়িত সকলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছে। ন্যায়বিচার নিশ্চিত না হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণতান্ত্রিক পরিবেশ ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা চরমভাবে হুমকির মুখে পড়বে, এ দায় কোনো প্রশাসনই এড়াতে পারে না।