প্রতিদিনের ক্লান্তিভাব যেভাবে দূর করবেন

আপনি যদি মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খান আর প্রতিদিন ক্রমশ ক্লান্তিবোধ করতে থাকেন তাহলে এটি আপনার স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকির কারণ হয়ে দাড়াতে পারে।

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এটি এমন সব লোকের উপর প্রভাবিত করে, যারা কর্মক্ষেত্রের প্রচণ্ড মানসিক চাপে থাকেন। মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের অবনতির সঙ্গে সঙ্গে এই ক্লান্তিকর অনুভূতি সম্পর্কযুক্ত, যার ফলে একজন ব্যক্তি তার দৈনন্দিন জীবনের দায়িত্ব সমূহ পালনে ক্লান্তি ও অলসতা বোধ করেন।

মানসিক চাপ, কাজের কাপ, উদ্বেগ, ঘুমের ঘাটতি, শারীরিক অসুস্থতা প্রভৃতি কারণেই এই দীর্ঘ মেয়াদি ক্লান্তির অনুভূতি হতে পারে।

আসুন জেনে নিই, মানসিক চাপ হতে সৃষ্ট প্রতিদিনের ক্লান্তিভাব থেকে পরিত্রাণের কিছু নিয়ম-

বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন
এমন কারো শরণাপন্ন হোন, যিনি আপনার পরিস্থিতি বুঝতে পারবেন বলে আপনি মনে করেন। হতে পারেন তিনি আপনার পারিবারিক চিকিৎসক বা মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ। একজন ডাক্তার আপনার অবস্থা ভালোভাবে বুঝতে পারবেন এবং এটি মোকাবেলার জন্য আপনার জন্য কিছু ওষুধ লিখে দেবেন। যদি আপনি ওষুধ খেতে না চান, তবে কোনো মনোবিজ্ঞানীর সঙ্গে কথা বলতে পারেন। তিনি আপনার লক্ষণগুলি বিবেচনাপূর্বক থেরাপির ব্যবস্থা করবেন, যা আপনাকে স্বস্তি পেতে সহায়তা করবে।

ক্যাফেইন গ্রহণ কমান
আপনি যখন অল্পতেই ক্লান্তি অনুভব করছেন, তখন বেশি পরিমাণে কফি পান করলে তা অনিদ্রা, উদ্বেগ ও মাথাব্যথার কারণ হতে পারে। তাই ক্যাফেইন সমৃদ্ধ খাবার বা পানীয় গ্রহণ সীমাবদ্ধ করতে পারেন।

পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন
আপনি যখন অফিসে থাকবেন না, তখন কাজের কথা মাথায় আনবেন না। ইমেল পরীক্ষা না করে সত্যিকার অর্থে বিশ্রাম নিন। আপনার মন ও দেহকে যথাসম্ভব সুস্থ হতে দিন, যাতে ক্লান্তি বোধ না হয়। পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাতে চেষ্টা করুন। প্রতিদিন ৭-৯ ঘণ্টা ঘুমাতে হবে। আমাদের দেহ সুস্থ রাখার পাশাপাশি উদ্যম বজায় রাখতে পর্যাপ্ত বিশ্রামের বিকল্প নেই।

সীমাবদ্ধতা বুঝতে শিখুন
নিজের সীমাবদ্ধতা বা ক্ষমতার সীমানা সম্পর্কে অবশ্যই আমাদের সবাইকে অবগত থাকতে হবে। নিজের ক্ষমতার চেয়ে বেশি কাজ গ্রহণ করলে মানসিক ও শারীরিক ধকল বেড়ে যায়, কর্মক্ষেত্রে দীর্ঘ সময় ব্যয় করতে হয় এবং মানসিক ও শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়তে হয়। তাই ‘না’ বলতে শিখুন, অনুরোধের ঢেঁকি গিলবেন না। নিজের সীমাবদ্ধতা জানুন এবং ক্ষমতা অনুযায়ী কাজ করুন।

মননশীলতা বা মাইন্ডফুলনেশ অনুশীলন করুন
প্রতিদিন শ্বাস-প্রশ্বাসের অনুশীলন এবং ধ্যানের জন্য কিছু সময় আলাদাভাবে নির্ধারণ করুন। আপনি কাজ শেষে বাড়িতে পৌঁছে এটি করতে পারেন। রাতে বিছানায় যাওয়ার আগে কিছুটা সময় ধ্যান করার অভ্যাস করুন। মাইন্ডফুলনেশ বা মননশীলতার অনুশীলন করুন। তথ্যসূত্র: দ্যা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

 

টাইমস/এনজে

Share this news on: