আমাদের পছন্দের নাশতার মধ্যে অন্যতম শিঙাড়া। অন্যান্য নাশতার তুলনায় সস্তা ও সহজলভ্য হওয়ায় অধিকাংশ মানুষই এটি খেয়ে থাকেন। কিন্তু এটি খাওয়ার পর এসিডিটি, বুকজ্বালা, গ্যাস ও পেট ভার হওয়ার সমস্যা খুবই সাধারণ।
ময়দা, আলু, মসলা এবং ডুবো তেলে ভাজা হওয়ার কারণে সিঙ্গারা হজম করা বেশ কঠিন।
বিশেষ করে খালি পেটে বা বেশি পরিমাণে সিঙ্গারা খেলে পেটে এসিডের পরিমাণ বেড়ে যায়, যার ফলে বুকে জ্বালা ও অস্বস্তি অনুভূত হয়।
আপনারও যদি সিঙ্গারা খাওয়ার পর বারবার এসিডিটি হয়, তবে ঘাবড়ানোর কিছু নেই। কিছু সহজ ঘরোয়া উপায় এবং সঠিক অভ্যাস এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে।
শিঙাড়া খাওয়ার পর এক গ্লাস হালকা গরম পানি পেটে জমে থাকা তেলকে আলগা করে এবং হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এর ফলে এসিডের প্রভাব ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে।
জোয়ান ও বিট লবণ
জোয়ান ও বিট লবণ এসিডিটির সমস্যায় কাজ করে। আধ চামচ জোয়ানের সঙ্গে এক চিমটি বিট লবণ মিশিয়ে চিবিয়ে খেলে গ্যাস ও বুকজ্বালা থেকে সঙ্গে সঙ্গে আরাম পাওয়া যায়।
জোয়ান পাচক এনজাইমকে সক্রিয় করে তোলে।
মৌরির পানি
মৌরি বা মৌরির পানিও খুব কার্যকরী। শিঙাড়া খাওয়ার পর ১ চামচ মৌরি চিবিয়ে খান অথবা মৌরি পানিতে ফুটিয়ে পান করুন। এটি পেট ঠাণ্ডা রাখে এবং এসিডের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
ঠাণ্ডা দুধও এসিডিটি কমাতে সাহায্য করে।
দুধ পেটের জ্বালা কমায় এবং এসিডকে নিউট্রাল করে। তবে খেয়াল রাখবেন দুধ যেন হালকা বা খুব বেশি ঠাণ্ডা না হয়।
কলা বা দই
কলা বা দই খেলেও আরাম পাওয়া যায়। কলা প্রাকৃতিক অ্যান্টাসিডের মতো কাজ করে, অন্যদিকে দই পেটের ভালো ব্যাকটেরিয়া বাড়িয়ে হজমশক্তি উন্নত করে।
এরপর থেকে শিঙাড়া খাওয়ার সময় কিছু সতর্কতা অবলম্বন করুন—
খুব বেশি ঝাল চাটনি খাবেন না।
খালি পেটে শিঙাড়া খাবেন না।
শিঙাড়ার সঙ্গে পানি বা কোল্ড ড্রিঙ্কস পান করা এড়িয়ে চলুন।
ধীরে ধীরে এবং সীমিত পরিমাণে সিঙ্গারা খেলে এসিডিটির সমস্যা অনেকটাই কমে যায়।
এমকে/টিএ